সুকুমার সরকার, ঢাকা: ২০ আগস্ট থেকে শুরু হতে চলেছে ভারত-বাংলাদেশ (India-Bangladesh) যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
[আরও পড়ুন: Taliban Terror: এক বছরের মধ্যেই ভারতে হামলা চালাবে চিন-পাকিস্তান-তালিবান!]
মঙ্গলবার ভারতে তৈরি ৩১টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুল্যান্স ও প্রায় ২০ টন চিকিৎসা সামগ্রী বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মোমেন জানান, আগামী শুক্রবার অর্থাৎ ২০ আগস্ট থেকেই সীমিত পরিসরে দুই দেশের মধ্যে বিমান যোগাযোগ চালু হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “ভারতের সঙ্গে এয়ার বাবল চুক্তির অধীনে ২০ আগস্ট থেকে ফ্লাইট চালু হবে বলে আশা করছি।” সোমবার এক সার্কুলারে বাংলাদেশের ‘বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা’ জানায়, ভারতের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সার্কুলারে বিশ্বের ২৭টি দেশের যাত্রীদের জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সংস্থাটি। দিল্লির আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ আগস্ট আন্তঃমন্ত্রকের বৈঠকের পর ‘এয়ার বাবল’ চুক্তির অধীনে সীমিত পরিসরে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে ১১ আগস্ট থেকে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে প্রস্তাব ছিল ঢাকার।
সূত্রের খবর, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার শর্ত ও ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ অনুযায়ী ফ্লাইট চালাতে পারবে। অন্যদিকে ভিস্তারা, স্পাইসজেট, ইন্ডিগো বা এয়ার ইন্ডিয়ার মতো ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলি বিশেষ ফ্লাইট চালাতে পারবে। গত বছরের অক্টোবরে এয়ার বাবল চুক্তির অধীনে ভারতের সঙ্গে ফ্লাইট চালু করে বাংলাদেশ। তবে ভারতে করোনার সংক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়ে গেলে চলতি বছরের ২৩ মার্চ থেকে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয় ভারত। বাংলাদেশও করোনার বিস্তার ঠেকাতে ৫ জুলাই ভারত-সহ ৮টি দেশের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। তবে এবার পরিস্থিটি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় ফের যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা বহাল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।