ভারত: ১১৯/১০ (ঋষভ ৪২, অক্ষর ২০, নাসিম ২৩/২)
পাকিস্তান: ১১৩/৭ (রিজওয়ান ৩১, ওয়াসিম ১৫, বুমরাহ ১৪/৩)
৬ রানে জয়ী ভারত।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান লড়াই মানে অন্য আবেগ। যার সঙ্গে আর পাঁচটা ম্যাচের অনুভূতি খাপ খায় না কোনওভাবেই। অনেক ইতিহাস, অনেক গল্প জড়িয়ে রয়েছে ভারত-পাক মহারণের পরতে পরতে। বিশ্বকাপেও তো দেখা গিয়েছে কত রুদ্ধশ্বাস লড়াই। সেখানে চিরকাল আধিপত্য ছিল ভারতের। এমনকী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও এতদিন এগিয়ে ছিল টিম ইন্ডিয়া। ব্যাটিং ব্যর্থতা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতে নিল ভারত (India Cricket Team)। সৌজন্যে বুমরাহর দুরন্ত বোলিং। সঠিক সময়ে জ্বলে উঠলেন হার্দিকরাও।
এদিন 'মওকা' নিয়ে কিছুটা চিন্তায় ছিলেন রোহিতরা। অনায়াসে না হলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (ICC T20 World Cup 2024) রেকর্ডকে ৭-১ করে ফেললেন তাঁরা। সবকিছুই ছিল তাঁদের সঙ্গে। আগের ম্যাচে দুর্বল আমেরিকার কাছে সুপার ওভারে হেরেছে পাকিস্তান (Pakistan Cricket Team)। ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সে বারবার কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন তাঁরা। টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার ভয়ও তাড়া করছিল। অন্যদিকে আয়ারল্যান্ডকে হেলায় হারিয়েছে রোহিতরা। এদিনও সুযোগের সদ্ব্যবহার করল ভারত। শেষ মুহূর্তে চাপ সামলাতে ফের ব্যর্থ পাকিস্তান।
[আরও পড়ুন: সুনীল পরবর্তী যুগ শুরু ভারতীয় ফুটবলে, কার হাতে ক্যাপ্টেনের আর্মব্যান্ড?]
এদিন ম্যাচের আগে থেকেই বাঁধ সেঁধেছিল বৃষ্টি। খেলা পিছিয়ে যায় এক ঘণ্টারও বেশি সময়ের জন্য। টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাবর আজম। এক ওভার হওয়ার পর ফের বৃষ্টি নামে। আর তার পরেই ম্যাচের রং বদলে যায়। নাসাও স্টেডিয়ামের পিচ নিয়ে বিতর্ক ছিল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মাঠ ঠিক করেছিল আইসিসি। ফলে পিচে অতিরিক্ত কোনও বিপদ ছিল না। বরং ভারতীয় ব্যাটিংকে সুইংয়ে নাজেহাল করে দেন আমির, রউফরা। পর পর দুওভারে ফিরে যান রোহিত আর বিরাট। এই দুই মহাতারকার উপর যে ভারতীয় দল কতটা নির্ভরশীল, তা ফের বুঝিয়ে দিলেন বাকিরা।
১৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছে ভারত। সেখান থেকে দলকে ছন্দে ফেরানোর চেষ্টা করছিল ঋষভ আর অক্ষর প্যাটেলের জুটি। কিন্তু নাসিম শাহ আক্রমণে ফিরতেই ক্লিন বোল্ড হয়ে গেলেন অক্ষর (২০)। তার পর শুধু যাওয়া-আসা। সূর্যকুমার (৭) জাদেজা (০), শিবম (৩) সবাই ব্যর্থ। তাও কিছুটা মুখরক্ষার চেষ্টা করেছিলেন ঋষভ পন্থ। কিন্তু তিনিও ফিরে গেলেন ৪২ রানের মাথায়। আইপিএলের পর এখনও ব্যাটে নিজের ফর্ম খুঁজে বেড়াচ্ছেন হার্দিক (৭)। শেষ পর্যন্ত ভারতের ইনিংস থামল মাত্র ১১৯ রানে।
কিন্তু তখনও যে ম্যাচ বাকি, তা ফের প্রমাণ করে দিলেন বুমরাহরা। আঁটসাঁট বোলিং করে গেলেন প্রথম থেকেই। পাক ব্যাটাররা কিছুতেই দিশা খুঁজে পেলেন না। সেই মন্থর ব্যাটিংই ডোবাল তাঁদের। প্রথম দিকে উইকেট না পড়লেও রানও উঠছিল। কিন্তু মোক্ষম সময়ে জ্বলে উঠলেন ভারতীয় বোলাররা। বাবর, ফখর জামান, উসমানদের ফিরিয়েও দেন বুমরাহ (১৪/৩), হার্দিকরা। কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন একমাত্র রিজওয়ান। তিনি শিকার হলেন হার্দিকের। শেষ পর্যন্ত ৬ রানে ম্যাচ জিতে নিল ভারত। দেখিয়ে দিল 'এভাবেও ফিরে আসা যায়'। কোথাও যেন কাঁধ ঝুঁকে যাওয়া সমর্থকদের মধ্যে বিশ্বাসের আগুন জ্বালিয়ে দিলেন। এবার কি বিশ্বকাপও আসবে দেশে? আশায় বুক বাঁধতেই পারে ভারতবাসী।