ভারত: ২৯৬/৮ (সঞ্জু ১০৮, তিলক ৫২)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২১৮ (টোনি ৮১, মার্করাম ৩৬)
৭৮ রানে জয় ভারতের।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৮-তে নেলসন ম্যান্ডেলার দেশ থেকে ওয়ান ডে সিরিজ জয় করে ফিরেছিল বিরাট কোহলির ভারত। পাঁচ বছরের ব্যবধানে সেই স্মৃতি ফেরালেন কেএল রাহুল। বৃহস্পতিবার পার্লে তৃতীয় ওয়ান ডে-তে প্রোটিয়া-বধ করে ২-১-এ সিরিজ জিতল টিম ইন্ডিয়া। ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসাবে প্রোটিয়াদের দেশ থেকে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের নজির গড়লেন কে এল রাহুল (KL Rahul)।
মরণ-বাঁচন ম্যাচে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যকে সামনে রেখে খেলতে নেমেছিল ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা (India vs South Africa) দু’দল। টানটান দ্বৈরথে শেষ হাসি হাসলেন অধিনায়ক রাহুল। গতবার তাঁর নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওয়ান ডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ভারত। এদিন সিরিজ জয়ে সেই কলঙ্কের দাগ মুছলেন ক্যাপ্টেন কেএল। পার্লে ভারতের জয়ে মণিমুক্তো ছড়ালেন সঞ্জু স্যামসন, অর্শদীপ সিং। প্রথম জন ব্যাটে, অপরজন বল হাতে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের আট বছর পর প্রথম শতরানের দেখা পেলেন সঞ্জু (১০৮)। চাপের মুখে দাঁড়িয়ে দলকে টানলেন, স্থিতধীচিত্তে খেললেন ১১৪ বলে ১০৮ রানের দুরন্ত ইনিংস।
[আরও পড়ুন: অপেক্ষার অবসান, মোহনবাগানে বসল অমর একাদশের মূর্তি]
ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের টিমে সুযোগ পাননি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওয়ান ডে সিরিজ ছিল ‘বঞ্চিত’ সঞ্জুর কাছে প্রমাণের মঞ্চ। এদিন ব্যাট হাতে জবাব দিলেন স্যামসন। একা সঞ্জু নন, চাপের মুখে রানে ফিরলেন তিলক ভার্মাও (৫২)। তাঁর সঙ্গে ১১৬ রানের জুটি গড়েন সঞ্জু। এদিন অভিষেক হল রজত পাতিদারের (২২)। অধিনায়ক রাহুল শুরুটা ভালো করেও খেই হারালেন আচমকাই (২১)। শেষদিকে রিঙ্কু সিংয়ের ২৭ বলে ৩৮ রানের ঝোড়ো ইনিংসটা খেললেন ভাগ্যিস, নয়তো তিনশোর কাছে পৌঁছনো পারত না ভারত। শেষপর্যন্ত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৯৬ রান তোলে টিম ইন্ডিয়া। জবাবে ২১৮ রানে অলআউট দক্ষিণ আফ্রিকা।
ব্যাট হাতে যে অনমনীয় লড়াইটা সঞ্জু-রিঙ্কুরা করেছিলেন, বল হাতে সেটাই করে দেখালেন অর্শদীপ সিং (৪/৩০)। গত ম্যাচে শতরান করা দক্ষিণ আফ্রিকার টোনি দি’জর্জি করেন ৮১ রান। তবে ক্রিজের উল্টোপ্রান্ত থেকে তেমন সাহায্য পেলেন না তিনি। অধিনায়ক এইডেন মার্করাম (৩৬) ছাড়া ব্যর্থ প্রোটিয়াদের মিডল অর্ডার। তবে কৃতিত্ব প্রাপ্য ভারতীয় বোলারদের। একদিকে, ওয়াশিংটন সুন্দর (২/৩৮) যখন আঁটোসাঁটো স্পিনে প্রোটিয়া ব্যাটিংকে চাপে রাখলেন তখন মোক্ষম সময়ে ফর্মে থাকা টোনি ডি’জর্জির (৮৯) উইকেট নিয়ে ভারতকে ম্যাচে ফেরালেন অর্শদীপ। চার উইকেট নিয়ে জেতালেন ভারতকে।