সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা আগ্রাসন রুখতে এবার পরমাণু শক্তচালিত ছ’টি সাবমেরিন তৈরি করছে ভারত। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই সাবমেরিন তৈরিতে যদি সাফল্য আসে, তাহলে প্রশান্ত মহাসাগরে ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি অনেকটাই বাড়বে। সামরিক রণকৌশল তৈরিতে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে চিনকে।
[ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ, সমরসজ্জায় প্রথম সারিতে ভারত]
ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের ‘দাদাগিরি’ রুখতে আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে নিয়ে জোট বেঁধেছে ভারত। ড্রাগনকে রুখতে কূটনৈতিক স্তরে তৎপরতা যেমন বেড়েছে, তেমনি নৌবাহিনীর অস্ত্রভাণ্ডারকে আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল সুনীল লানবে জানিয়েছেন, ‘পরমাণু শক্তচালিত সাবমেরিন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এটা অত্যন্ত গোপন একটি প্রকল্প। প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এর বেশ আর কিছু বলব না।’ তাঁর সংযোজন, ‘দেশের সমুদ্র সীমান্তের নিরাপত্তা পরিস্থিতি কারও অজানা নয়। জলসীমান্ত নিরাপদ রাখা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তাই জোরদার নজরদারি ও নৌবাহিনী শক্তি বৃদ্ধি একান্ত প্রয়োজন।’
[ জানেন, পাকিস্তানকে ঠান্ডা করতে বিএসএফের অস্ত্র তাদের কোন ‘এলিট ফোর্স’?]
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে একটি বন্দর তৈরিতে সাহায্য করছে চিন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কৌশলগত দিক থেকে গদর বন্দরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে সেখানে চিনের নৌঘাঁটি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর সেই আশঙ্কা সত্যি হলে, ভারতকে যে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে, তা স্বীকার করে নিয়েছে নৌহবাহিনীর প্রধান। তিনি জানিয়েছেন, এমনিতে সবসময়ই ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা নৌবাহিনীর আটটি রণতরী ঘোরাফেরা করে। কিন্তু, আগস্ট মাসে সেখানে প্রায় ১৪ দিন চিনা রণতরী দেখা গিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, অগাস্টে ডোকলামে সেনা মোতায়েন করা নিয়ে দিল্লির সঙ্গে বেজিংয়ের সঙ্গে চরমে পৌঁছেছিল। তবে প্রশান্ত মহাসাগর বা ভারত মহাসাগর-ই নয়, আন্দামান সাগর, মালাক্কা প্রণালী-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জলসীমান্তে ভারতের সামরিক উপস্থিতি ধীরে ধীরে বাড়ানো চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল সুনীল লানবে।
[ডোকলামকে ফের নিজেদের এলাকা বলে দাবি চিনের, মোতায়েন লালফৌজও]
The post চিনা আগ্রাসন রুখতে ভারতের ‘বাজি’ পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন appeared first on Sangbad Pratidin.