সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবারও চিনের ‘বেল্ট এন্ড রোড ফোরাম’ সম্মেলন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্য দিয়ে বেজিংয়ের ‘চিন-পাকিস্তান ইকনমিক করিডর’ (সিপিইসি) প্রকল্প নিয়ে গোড়া থেকেই বিরোধ জানিয়ে আসছে নয়াদিল্লি। তার জেরই পড়েছে বিআরএফ সম্মেলনে। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চাইছে চিন।
[‘বালাকোটে মরেনি কোনও সৈন্য বা নাগরিক’, সুষমার মন্তব্যে ভারতকে কটাক্ষ পাকিস্তানের]
শুক্রবার চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, “উহানের মতো আরও এক সম্মেলনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বেজিং। দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত করতে চাইছে বেজিং। বিআরএফ প্রকল্পে যোগ দিলে আদতে লাভবানই হবে ভারত।” সিপিইসি নিয়ে ভারতের উদ্বেগের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে চিনা বিদেশমন্ত্রী সাফ জানান, কোনওভবেই কাশ্মীর সমস্যা জটিল করছে না এই প্রকল্প। কোনও দেশের সার্বভৌমত্বকে লঙ্ঘন করা কখনওই বেজিংয়ের উদ্দেশ্য নয়। একই সঙ্গে ভরতের কাছে প্রায় ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সিপিইসি প্রকল্পের বিরোধিতা না করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। বিআরএফ প্রকল্পে ভারতের বিরোধিতা দু’দেশের সম্পর্কে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে? এর উত্তরে চিনা বিদেশমন্ত্রী জানান, গত বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠকের পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত হয়েছে। চিনে অনুষ্ঠিত উহান সম্মেলনের আদলে ফের বৈঠকে বসতে চলেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। লোকসভা নির্বাচনের পরই ভারতে আসতে পারেন শি জিনপিং।
উল্লেখ্য, বিআরএফ সম্মেলনে যোগ দিতে চলেছেন প্রায় ৩৭টি দেশের প্রধান ও ১৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা। এপ্রিলের ২৫ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত চিনে চলবে এই সম্মেলন। তবে পিটিআই সূত্রে খবর, এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নয়াদিল্লির কাছে আমন্ত্রণ পাঠায়নি বেজিং। উল্লেখ্য, ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ মেগা প্রজেক্টের আওতায় পাকিস্তান ও চিনকে স্থলপথে জুড়তে সিপিইসি প্রকল্প শুরু করে বেজিং। ওই সড়কের একটি অংশ পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে যাওয়ায় প্রবল আপত্তি জানিয়েছে ভারত। সার্বভৌমত্বে আঘাত হেনেছে বেজিং বলেও অভিযোগ দিল্লির। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের বিরোধে কিছুটা হলেও ধাক্কা খাবে ওই প্রকল্প। তাই আপাতত দিল্লিকে কাছে টানতে বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে জিনপিং প্রশাসন।
[জ্বলছে গির্জা, দেখা দিলেন যিশু! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছবি]