সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কানাডার (Canada) সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে গত কয়েক বছরে, সেই স্থিতাবস্থা এবার কাটতে চলেছে। তেমনই ইঙ্গিত দিলেন কানাডার ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অজয় বিসারা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানালেন, নতুন করে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানই। শিগগিরি সুরক্ষা ও বাণিজ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মজবুত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। মনে করা হচ্ছে ‘চিন বিরোধী’ অবস্থানই হয়তো দুই দেশের নৈকট্যকে বাড়াতে সাহায্য করবে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে তৃতীয় বারের জন্য কানাডার প্রধানমন্ত্রী হন জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতির তোড়জোড় শুরু হয়েছে। অজয় বিসারার কথায়, ‘‘কানাডায় নতুন সরকার এসেছে। এবার তাই নতুন বছরে আমরা নতুন উদ্যোগ নিতে চলেছি। আমাদের আশা, দুই জি২০ দেশ ও ইন্দো-প্যাসিফিক গণতন্ত্রের মধ্যে আরও বেশি সমন্বয় তৈরি হবে।’’
[আরও পড়ুন: কাজাখস্তানে মোতায়েন রুশ সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে, ঘোষণা প্রেসিডেন্ট টোকায়েভের]
আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই তাদের ইন্দো-প্যাসিফিক নীতি প্রকাশ করবে কানাডা। মনে করা হচ্ছে, সেই নীতিকে কেন্দ্র করেও দুই দেশের অবস্থান আরও কাছাকাছি হবে। কানাডা মনে করছে, যদি দু’টি দেশ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নীতি সম্পর্কে সমদর্শী মনোভাব নিয়ে চলে তাহলে তাদের নীতিগত অবস্থানও একই জায়গায় থাকবে। যাকে কেন্দ্র করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করে গড়ে তোলা যাবে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের গুয়ামে বহুজাতিক মহড়া সি ড্রাগনে অংশ নিয়েছে ভারত। এই যৌথ সামরিক মহড়ায় কোয়াডভুক্ত যে চারটি দেশ অংশ নিয়েছিল তাদের মধ্যে ভারতের পাশাপাশি কানাডাও ছিল। দুই দেশের ‘চিন বিরোধী’ অবস্থান তখনই স্পষ্ট হয়ে যায়। এবার কানাডার তরফে এই ইঙ্গিত থেকে পরিষ্কার, পুরনো সম্পর্ক ভুলে এবার কাছাকাছি আসতে চলেছে দুই দেশ।