সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছে করোনা ভাইরাস। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল ভারত। এহেন পরিস্থিতিতে শত্রুতা ভুলে এই মারণ ভাইরাসটিকে রুখতে নয়াদিল্লির পাশে দাঁড়িয়েছে চিন। আপাতত পণ্য সরবরাহ ও বিমান চলাচল বজায় রাখতে সহমত হয়েছে দুই পড়শি দেশ।
[আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার পরে এবার ফ্রান্স, ফের দেশের করোনা পরিস্থিতির জন্য আন্তর্জাতিক কাঠগড়ায় মোদি]
শুক্রবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। মহামারীর পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লির পাশে থাকার বার্তা দিয়ে চিন জানিয়েছে যে ওষুধ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ কাচামাল ও অন্যান্য সরঞ্জামের জোগান নিয়মিত রাখতে আপাতত দুই দেশের মধ্যে পণ্য সরবরাহ বজায় থাকবে। বিমান পরিষেবাও বন্ধ করা হবে না। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে “চিনা সংস্থাগুলি থেকে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও কাচামাল কিনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারতীয় বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি। তবে এর জন্য পণ্য সরবরাহে বাণিজ্যিক পরিবহণ ব্যবস্থা খোলা রাখতে হবে। করোনা রুখতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে চিনকে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর।” ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক আরও জানিয়েছে যে, জয়শংকরের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে চিন। করোনাকে মানবজাতির শত্রু হিসেবে আখ্যা দিয়ে যৌথভাবে লড়াই চালানোর আশ্বাস দিয়েছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। তিনি জানিয়েছেন, ওষুধ তৈরির জন্য ভারতে কাচামালের জোগান নিয়মিত থাকবে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে করোনা সংক্রমণের অছিলায় ভারতে পণ্য পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল চিনের সরকারি বিমানসংস্থা। তা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়। অবশেষে অবস্থান বদলে নয়াদিল্লির পাশে থাকার বার্তা দেয় বেজিং। দু’দিন আগেই এদেশে ২৫ হাজার অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর পাঠানোর কথা ঘোষণা করে চিন। ভারতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত সান ইউডন টুইট করে এ কথা জানান। সব মিলিয়ে করোনা মহামারীর মোকাবিলা করতে আপাতত শত্রুতা ভুলে হাত মিলিয়েছে দুই দেশ।