দুলাল দে: এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত দল বাছার আগে সাহাল আবদুল সামাদের (Sahal Abdul Samad) চোটের দিকে তাকিয়ে আছেন জাতীয় কোচ ইগর স্টিমাচ। প্রতি মুহূর্তে মোহনবাগানের এই মিডফিল্ডারের চোট নিয়ে আপডেট নিচ্ছেন তিনি। যদিও আশার খবর, দলের অন্যান্য ফুটবলারদের সঙ্গে পুরোদমেই প্র্যাকটিস করছেন সাহাল।
এশিয়ান কাপের জন্য প্রাথমিকভাবে পঞ্চাশ জনের দল ঘোষণা করেছেন ইগর স্টিমাচ (Igor Stimac)। তবে ঠিক হয়েছে, এশিয়ান কাপ খেলতে দোহায় খেলতে নিয়ে যাওয়া হবে ২৬ জনকে। এই ২৬ জন ফুটবলারকে নির্বাচন করার আগে জাতীয় কোচ নিশ্চিত হতে চান চোটমুক্ত ভাবে যেন ফিটনেসের চূড়ান্ত জায়গায় থাকবেন এই ফুটবলাররা। সেই কারণেই ২৬ জনের দল ঘোষণার আগে প্রতিটি ফুটবলারের ব্যপারে পুঙ্খানুপুঙ্খ খোঁজ রাখছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: সুপার কাপ খেলবে না মহামেডান, ফেডারেশনকে জানিয়ে দিল সাদা-কালো ব্রিগেড]
এশিয়ান কাপে ভারতের প্রথম ম্যাচ ১৩ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। আপাতত ঠিক হয়েছে, কোচ দোহা পৌঁছবেন ২৯ ডিসেম্বর। আর ২৬ জন ফুটবলার এশিয়ান কাপ খেলার জন্য দোহা পৌঁছবেন ৩০ ডিসেম্বর। কারণ আইএসএলের এই পর্বের শেষ ম্যাচ ২৯ ডিসেম্বর। কোন ২৬ জন ফুটবলারকে এশিয়ান কাপে নিয়ে যাওয়া হবে তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য শেষ ম্যাচ পর্যন্ত দেখতে চান স্টিমাচ।
কারণ শেষ মুহূর্তে কোনও গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারের চোট-আঘাত কোচের পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে পারে। যেমনটা হয়েছে সাহালের ক্ষেত্রে। ওড়িশা ম্যাচে গোড়ালিতে চোট পেয়ে প্রথমার্ধের শেষ দিকে মাঠ ছাড়েন তিনি। পরের তিনটে ম্যাচের মধ্যে নর্থ-ইস্ট এবং মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে স্কোয়াডেই ছিলেন না সাহাল। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে রিজার্ভ বেঞ্চে থাকলেও জাতীয় দলের এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারকে মাঠে নামাননি ফেরান্দো। স্বাভাবিক ভাবেই জাতীয় দলের এমন গুরুত্বপূর্ণ একজন ফুটবলার চোটের জন্য খেলতে না পারায় এশিয়ান কাপের দল নির্বাচনের একদম শেষ মুহূর্তে সামান্য হলেও চিন্তায় জাতীয় কোচ। তবে মোহনবাগানের প্র্যাকটিসে কিন্তু প্রতিদিনই দলের অন্যদের সঙ্গে ভালোভাবেই প্র্যাকটিস করছেন সাহাল।
এখন দেখার কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ফেরান্দোর প্রথম একাদশে তিনি সুযোগ পান কি না। কেরালার বিরুদ্ধে খেলতে পারলে এশিয়ান কাপের দলগঠন নিয়ে স্টিমাচের কপালে চিন্তার ভাঁজ কমবে। আর উল্টোটা হলে এশিয়ান কাপে সুনীল ছেত্রীর স্ট্রাইকিং পার্টনার খুঁজতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হবে ভারতীয় কোচকে।
স্টিমাচ প্রথমে ভেবেছিলেন, এশিয়ান কাপের প্রস্তুতিপর্ব কলকাতা না হলে মুম্বইয়ে করবেন। সেক্ষেত্রে জাতীয় শিবির কমপক্ষে চার সপ্তাহ করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু আইএসএলের ক্লাবগুলি এতদিনের জন্য ফুটবলার ছাড়তে রাজি না হওয়ায় পরিকল্পনা বদলাতে হয় জাতীয় কোচকে। যেহেতু প্রস্তুতির জন্য মাত্র ২ সপ্তাহের সময় পাওয়া যাচ্ছে, তা সময় নষ্ট না করে পুরোটাই কাতারের মাটিতে করছেন তিনি। আর তা শুরুর আগেই সাহালের চোটে চিন্তার ভাঁজ স্টিমাচের কপালে।