দেবাশিস সেন, বার্বাডোজ: একেবারে ফুরফুরে মেজাজে টিম ইন্ডিয়া (India Cricket Team)। গ্রুপ পর্বে তিনটে ম্যাচ জয়। ফ্লোরিডায় কানাডার বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে সুপার এইটের প্রস্তুতি সারার ভাবনা ছিল রোহিত শর্মাদের। কিন্তু বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে যায়। যা নিয়ে টিমের ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর বলছিলেন, ম্যাচটা হলে তাঁদের সুবিধাই হত। সুপার এইটের প্রস্তুতি আরও ভালভাবে সারা যেত।
কিন্তু এসব নিয়ে আর ভাবতে চাইছে না রোহিত শর্মারা। সুপার এইটে কাদের বিরুদ্ধে খেলতে হবে, সেটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। আগামী ২০ জুন বার্বোডোজে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে নামবে ভারত। টিম ইতিমধ্যেই বার্বাডোজ পৌঁছে গিয়েছে। বিরাটরা আগের দিন বিচভলি বল খেলেন। সেখানে বেশ খোশ মেজাজেই পাওয়া গেল বিরাটদের।
[আরও পড়ুন: পুরানের তাণ্ডবে বিদ্ধ আফগানিস্তান, ‘অপরাজিত’ থেকেই সুপার এইটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ]
গ্রুপ পর্বে প্রথম তিনটে ম্যাচ কোহলি রান পাননি। যদিও ভারতীয় শিবিরে এসব নিয়ে কোনও চিন্তা নেই। বরং সকলেই নিশ্চিত সুপার এইটের প্রথম ম্যাচ থেকেই কোহলিকে চেনা ছন্দে পাওয়া যাবে। আগের দিন রাঠোরও সেটা বলে গিয়েছেন। তাঁর কথায়, বিরাট শুরুতে আউট হয়েছে মানে এটা নয় যে তিনি ছন্দে নেই। নেটে যথেষ্ট ভাল ব্যাটিং করছেন। ফলে রানে ফেরাটা শুধুই সময়ের অপেক্ষা। এদিন ঐচ্ছিক প্র্যাকটিস রাখা হয়েছিল। তবে ট্রেনিংয়ে পুরো টিম আসে। সবার আগে নেটে ব্যাটিং করতে গেলেন বিরাট আর রবীন্দ্র জাদেজা আর ঋষভ পন্থ। বিরাটের মতো জাদেজাও টুর্নামেন্টে এখনও সেভাবে রান পাননি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সূর্যকুমার যাদব আর শিবম দুবের রানের মধ্যে ফেরা স্বস্তি দিচ্ছে ভারতীয় টিমকে। এদিন কেনিংটন ওভালে ঢুকেই কোচ দ্রাবিড়ের সঙ্গে পিচ দেখতে গেলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। সুপার এইটের যা সূচি, তাতে আফগানিস্তান ছাড়া বাকি দুই প্রতিপক্ষ হল-বাংলাদেশ আর অস্ট্রেলিয়া। কারও কারও মনে হচ্ছে, তুলনায় অনেক সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েছে ভারতীয় টিম। রোহিতরা অবশ্য কোনও টিমকেই হালকাভাবে নিচ্ছে না। প্রথমত, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট এমন যেখানে যে কোনও দিন যা কিছু ঘটে যেতে পারে। তাছাড়া আফগানিস্তান এবারের বিশ্বকাপে (ICC T20 World Cup 2024) দুরন্ত ছন্দে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত তিনটে ম্যাচের মধ্য সবগুলোতে জিতেছে রশিদ খানের টিম। তার উপর নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে তারা। দলের অন্যতম পেসার সেরা ফারুকি দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন। এছাড়াও আফগানিস্তানের বোলিং অ্যাটাক শক্তিশালী। সবমিলিয়ে সুপার এইটের লড়াইটা আরও কঠিন হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।