দেবাশিস সেন, নিউ ইয়র্ক: মায়ের আরাধনা। আর তার সঙ্গে ক্রিকেট দর্শন।
এ দেশে নয়, সাত সমুদ্র তেরো নদী পার মার্কিন মুলুকে। সুদূর নিউইয়র্কের কালীবাড়িতে। বুধবার ভারত-আয়ারল্যান্ড ম্যাচ। মন্দিরে পরিবার-পরিজন, প্রিয়জনদের মঙ্গল কামনার পাশাপাশি রোহিত-বাহিনীর সাফল্যের জন্যও মনপ্রাণ ঢেলে প্রার্থনা করছেন আমেরিকার প্রবাসী ভারতীয়রা। পাশাপাশি তাঁরা ২২ গজের লড়াইয়ের আঁচও নেবেন। সেই জন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের ম্যাচগুলি সম্প্রচারের আয়োজন করেছে নিউ ইয়র্ক কালীবাড়ির মন্দির কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: আজম খানের চেহারা নিয়ে কটাক্ষ বাবরের, নেটদুনিয়ার পালটা পাক অধিনায়ককে]
বল্ডউইনের শহরতলির নিরিবিলি পাড়ায় এই কালী মন্দির। ক্যান্টিয়াগ পার্ক থেকে গাড়ি চালিয়ে যেতে লাগে মোটামুটি আধ ঘন্টা। ২০১১ সালে তৈরি মন্দিরের প্রবেশদ্বারে আঁকা আলপনা ভক্তদের স্বাগত জানায়, মনে ভক্তির অনুভূতি হয়। মায়ের মূর্তি ছাড়াও রামকৃষ্ণ, সারদা মায়ের ছবিও ভক্তিরস, শ্রদ্ধায় আপনাকে আপ্লুত করবে।
স্থানীয় বাঙালিদের একটি অংশ উপাসনার জন্য ওই মন্দির তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ২০০৫ সালে তারা এক টুকরো জমিতে মন্দিরটি বানায় তারা।
৩৭ সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য বাবলু পাল জানালেন, ''দুর্গাপূজা এবং কালীপূজার মতো উৎসব উপলক্ষ্যে ফুল আসে মন্দিরে। ভক্তরা গাড়ি চালিয়ে মন্দিরে আসেন কানেকটিকাট, ওহাইও, অরল্যান্ডো এবং নিউ জার্সি থেকে। সপরিবারে। মন্দিরে ভক্তদের ভোগ বিতরণ করা হয়।'' বর্তমানে মন্দিরের হাতে আছে তিনটি সম্পত্তি। একটি বড় কমিউনিটি হলও আছে।
নিউইয়র্কে চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন সাড়া ফেলেছে প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে। ভারতীয় ক্রিকেট দলকে দেখতে তাঁরা মুখিয়ে আছেন। বিরাট কোহলির অনুশীলন দেখতে মুখিয়ে সবাই।
ভারত ও বাংলাদেশের গা ঘামানোর ম্যাচ দেখতে নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ছিলেন অনেকেই। তাঁদের মধ্যে কালীভক্তরাও রয়েছেন। কয়েকজন আবার ৫ জুনের আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে গ্রুপ লিগের খেলা দেখার জন্য ইতিমধ্যেই টিকিট হাতে পেয়েছেন। বাবলু পাল বলছেন, ''আমরা কমিউনিটি হলে ভক্তদের জন্য ভারতের ম্যাচগুলি সম্প্রচার করার পরিকল্পনা করছি। মন্দিরের ঠিক বিপরীতে অবস্থিত কমিউনিটি হলে তাঁরা আরাম করে ম্যাচটি উপভোগ করতে পারবেন। আমাদের কিছু ভক্ত ইতিমধ্যেই ওয়ার্ম আপ ম্যাচ দেখেছেন।''
অতএব বুধবার থেকে রোহিত-বাহিনীর ম্যাচের দিনগুলি মন্দির হয়ে উঠবে ভক্তি-আরাধনা, ক্রিকেট-প্যাশনের মিলনস্থল।