সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানমারের (Myanmar) নেত্রী আং সান সু কি-র জেলের সাজা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল ভারত। মঙ্গলবার ভারতের বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানায় যে সু কি’র রায় ‘খুবই বিচলিত করার মতো’।
[আরও পড়ুন: সাতাত্তরের বৃদ্ধের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন ২০ বছরের তরুণী, শীঘ্রই করবেন বিয়েও!]
সদ্য মায়ানমারের নেত্রী আং সান সু কি-কে চার বছরের জেলের সাজা শুনিয়েছে মায়ানমারের একটি আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে সেনার বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া ও করোনাবিধি লঙ্ঘন করার ‘অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে’। এই বিষয়এ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, “সু কি’র সাজা নিয়ে আমরা বিচলিত। পড়শি এবং গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে মায়ানমারের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতা হস্তান্তরের পক্ষে ভারত। আমরা বিশ্বাস করি আইন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ মেনে চলা উচিত। দেশের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সব পক্ষেরই উচিত আলোচনার পথে হাঁটা।”
উল্লেখ্য, জেলযাত্রা নতুন নয় মায়ানমারের (Myanmar) গণতান্ত্রিক নেত্রীর। বরং তাঁর জীবনের অধিকাংশই কেটেছে কারাগারে। সেনা শাসনাধীন মায়ানমারে একাধিক অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে সু কি-কে দীর্ঘ সময়ে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তিনি মুক্তি পেয়ে গণতান্ত্রিক পথে হেঁটে, ভোটে লড়াই করে রাষ্ট্রপ্রধানও নির্বাচিত হন। মায়ানমারে ফিরে আসে গণতন্ত্র। কিন্তু সু কি দেশের প্রধান হয়ে কুরসিতে বসার পর পরই তাঁর বিরুদ্ধে ফের একাধিক অভিযোগ উঠতে থাকে। এমনকী নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে আচমকা দেশের ক্ষমতা কেড়ে নেয় সেনাবাহিনী। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকারকে উপড়ে ফেলে নেত্রী আং সান সু কি-কে বন্দি করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা চলছে। এ তারপরও গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে দেশজুড়ে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। পাল্লা দিয়ে দমনপীড়ন শুরু করে সর্বশক্তিমান জুন্টা। এপর্যন্ত সেনাবাহিনীর অত্যাচারে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে দেড় হাজার মানুষের।