সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনই স্বাভাবিক হচ্ছে না আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা (International Flight)। পরবর্তী নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে আন্তর্জাতিক উড়ান। সোমবার জানিয়ে দিল কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক।
কোভিড (Covid) মহামারীর কারণে ২০২০ সালের ২৩ মার্চ থেকে ভারতের সঙ্গে বিদেশের বিমান যোগাযোগ বন্ধ ছিল। করোনা যুদ্ধে অনেকটা এগিয়ে যাওয়ার পর যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে বর্তমানে বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ‘এয়ার বাবল’ চুক্তির (Air Bubble) মাধ্যমে সীমিত সংখ্যক বিমান চলাচল করছে। বর্তমানে ৪৫ টি দেশের সঙ্গে এয়ার বাবল চুক্তিতে আবদ্ধ ভারত। মাঝে আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু ওমিক্রনের দাপটে তা পিছিয়ে যায়। মনে করা হচ্ছে, এবারও কী কোভিড আতঙ্কেই পিছলো আন্তর্জাতিক উড়ান।
[আরও পড়ুন: ভারতীয় পড়ুয়াদের ফেরাতে বড় উদ্যোগ কেন্দ্রের, ইউক্রেন সীমান্তে যাচ্ছেন তিন মন্ত্রী]
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারিতে একটি নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল, আপাতত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত থাকবে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা। এদিন মন্ত্রক জানিয়ে দিল, এখনই স্বাভাবিক হচ্ছে না আন্তর্জাতিক উড়ান। কবে আন্তর্জাতিক উড়ান চালু হবে সেই বিষয়ে নির্দেশিকায় কিছু বলা হয়নি। জানানো হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা। তবে ‘এয়ার বাবল’ চুক্তির (Air Bubble) মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যে সীমিত সংখ্যক বিমান চলাচল করছে, তা আগের মতোই চালু থাকবে।
[আরও পড়ুন: জুন মাসে আছড়ে পড়তে পারে কোভিডের চতুর্থ ঢেউ! সতর্ক করছেন গবেষকরা]
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের তরফে গত বছরের ২৬ নভেম্বরে জানানো হয়, ১৫ ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক হবে। তবে যে সব দেশে এখনও কোভিড (COVID-19) পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়, সেসব দেশে আপাতত বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে। কিন্তু ওই সময় দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন স্ট্রেনের অস্তিত্ব দেখা দেওয়ায় বিমান চলাচলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাননি অনেকেই। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আন্তর্জাতিক বিমান চালু না করার আবেদন করেছিলেন। তারপরেই বিমান চালুর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে কেন্দ্র সরকার। এরপর একাধিকবার পেছনো হয় আন্তর্জাতিক উড়ান চালু হওয়ার দিনক্ষণ। আরও একবার তা পিছিয়ে গেল।