সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্যাংগং হ্রদের (Pangong Lake) উপরে অবৈধভাবে সেতু বানাচ্ছে চিন (China), আগেই বলেছিল ভারত। এবার লোকসভায় এই বিষয়ে কড়া বিবৃতি দেওয়া হল বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। দিল্লি আশা করে অন্য দেশ ভারতের সার্বভৌমত্বকে সম্মান দেখাবে। এই বেআইনি নির্মাণ কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না ভারতের তরফে, শুক্রবার জানিয়ে দিলেন বিদেশ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভি মুরলিধরন (V Muraleedharan) ।
গত ১৬ জানুয়ারি বিতর্কিত প্যাংগং হ্রদে চিনের সেতু নির্মাণের উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ্যে আসে। ছবিতে স্পষ্ট হয় যে নির্মাণ কাজ অনেকটাই সেরে ফেলেছে বেজিং। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ৪০০ মিটার দীর্ঘ হচ্ছে সেতুটি। প্রস্থে ৮ মিটার। এই সেতুর সুবিধা নিয়ে পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) চিন আগ্রাসন বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দিল্লি। এই অবস্থায় দিল্লি তার অবস্থান ফের স্পষ্ট করে দিল।
এই বিষয়ে বিদেশ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভি মুরলিধরন বলেন, “চিনের সেতু নির্মাণের কাজ নজরে রাখছে ভারত। যেখানে সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে সেই এলাকা ১৯৬২ সাল থেকে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছ চিন। ভারত সরকার এই অবৈধ নির্মাণ মেনে নেবে না। বহুবার স্পষ্ট করা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। দিল্লি আশা করে অন্য দেশ ভারতের সার্বভৌমত্ব ও এলাকাকে সম্মান দেখাবে।”
২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় (Galwan Valley) ভারত-চিন সংঘর্ষের পর থেকেই উত্তপ্ত পূর্ব লাদাখ সীমান্ত। এরপর দুই দেশ অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করে এলএসি (LAC)-তে । উত্তজনা কমাতে উভয়পক্ষে বহুবার আলাপ-আলোচনা হয়েছে। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। এদিন বিদেশ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আলোচনায় আমরা তিনটি বিষয়ের উপর জোর দিয়েছি। প্রথমত উভয়পক্ষে কঠোরভাবে এলএসি-কে সম্মান করবে। কোনও পক্ষই একতরফাভাবে কোনওরকম পদক্ষেপ করবে না। এবং উভয় পক্ষের মধ্যে হওয়া সমস্ত চুক্তি সম্পূর্ণ ভাবে মেনে চলতে হবে।”
[আরও পড়ুন: পুলিশ কর্মীকে খুনের বদলা, কাশ্মীরে এনকাউন্টারে নিকেশ ২ লস্কর জেহাদি]
পূর্ব লাদাখের পাশাপাশি অরুণাচল সীমান্ত নিয়েও উদ্বিগ্ন ভারত। একতরফা অরুণাচল সীমান্তের বেশ কিছু জায়গার নাম পরিবর্তন করছে বেজিং। এদিন ভারতের তরফে স্পষ্ট করা হয়, উত্তরপূর্বের রাজ্যটি ভারতের আবিচ্ছেদ্য অংশ। সে কথা মাথায় রাখতে হবে প্রতিবেশীকে।