সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পিএনবি কেলেঙ্কারির (PNB Scam) অন্যতম অভিযুক্ত মেহুল চোকসিকে ভারতে ফেরানো নিয়ে এবারে জোরকদমে শুরু হয়ে গেল আইনি মারপ্যাঁচ। অ্যান্টিগা সরকারের পূর্ণ ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও মেহুলকে দেশে ফেরানো নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ডোমিনিকা থেকে সরাসরি ফেরার হীরে ব্যবসায়ীর ভারতে ফেরা নিয়ে এখনও রীতিমতো সংশয় রয়েছে। অন্তত আগামী ২ জুন পর্যন্ত তাঁর দেশে ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
ডোমিনিকাতে চোকসি ধরা পড়ার পর থেকেই তাঁকে দেশে ফেরানো নিয়ে অ্যান্টিগা সরকার, ডোমিনিকা সরকার এবং ভারত সরকারের মধ্যে অদ্ভুত এক টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। অ্যান্টিগা (Antiga) সরকার ভারতের পাশে। তাঁরা চাইছে চোকসিকে তাঁদের দেশে না ফিরিয়ে সরাসরি ফেরানো হোক ভারতে। কারণ অ্যান্টিগায় গেলেই সেদেশের নাগরিক হওয়ার সুবাদে আইনি সুরক্ষা পেয়ে যাবেন চোকসি। সেই মতো ভারত সরকারের তরফে হীরে ব্যবসায়ীর প্রত্যর্পণের কাগজপত্র ডোমিনিকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, সিবিআই (CBI) এবং ইডির (ED) তরফে চোকসির বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ আছে, সেই সব অভিযোগের নথি ডোমিনিকায় পাঠানো হয়েছে। পাঠানো হয়েছে একটি প্রাইভেট জেটও। ঘটনাচক্রে ওই প্রাইভেট জেটটি যেদিন চোকসি ধরা পড়লেন, তার পরদিনই ডোমিনিকায় পৌঁছে গিয়েছে। সূত্রের খবর, বিদেশমন্ত্রক ডোমিনিকার সরকারের সঙ্গে চোকসির প্রত্যর্পণ নিয়ে কথা বলছে।
[আরও পড়ুন: জেলের ভিতরেই মারধর! প্রকাশ্যে এল পলাতক ব্যবসায়ী মেহুল চোকসির বন্দিদশার ছবি]
এই মুহূর্তে ডোমিনিকার আদালতের নির্দেশে ২ জুন পর্যন্ত সেখানকার পুলিশের হেফাজতে আছেন হীরে ব্যবসায়ী। আগামী বুধবার তাঁকে ফের আদালতে পাঠাতে হবে। সূত্রের খবর, বুধবারের শুনানিতে ভারত সরকার প্রমাণ করার চেষ্টা করবে, মেহুল চোকসি (Mehul Choksi) সত্যিই ভারত থেকে পলাতক এবং তাঁর বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির অভিযোগ আছে। সেক্ষেত্রে ভারতের পক্ষে চোকসিকে দেশে ফেরানো সহজ হবে। অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউনও সেকথাই বলছেন। তাঁর বক্তব্য, “আমি যতদূর বুঝতে পারছি ভারত সরকার নথি পাঠিয়েছে এটা প্রমাণ করার জন্য যে মেহুল চোকসি সত্যিই পলাতক।” ব্রাউন আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন, মেহুলকে তাঁরা ফিরিয়ে নেবেন না।
[আরও পড়ুন: ‘আমাকে অপহরণ করেছিল ভারতীয় পুলিশ’, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ মেহুল চোকসির]
আর এখানেই আপত্তি চোকসির আইনজীবীর। তাঁর দাবি, অ্যান্টিগা থেকে কী ভাবে মেহুল ডোমিনিকায় গেলেন, সেটি স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত ভারতে ফেরানোর কোনও প্রশ্নই ওঠে না। কারণ তিনি মনে করেন, নিজের ইচ্ছায় অ্যান্টিগা ছাড়েননি মেহুল। তাঁর আশঙ্কা, অ্যান্টিগা থেকে জোর করে মেহুলকে তুলে আনা হয়েছে। যাতে তাঁকে ভারতে ফেরাতে সুবিধা হয়।