সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে লোকসভা লোকসভা নির্বাচনের মাঝেই কেন্দ্রের মোদি সরকারের প্রশংসায় দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (D Y Chandrachud)। কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Govt) আনা নয়া ৩ ফৌজদারি আইনের সপক্ষে বার্তা দিলেন তিনি। প্রধান বিচারপতির দাবি, 'ভারত বদলাচ্ছে। ভারতীয় সমাজে এক নয়া অধ্যায় শুরু করতে চলেছে নয়া তিন ফৌজদারি আইন (Criminal Laws)।'
চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে দেশে লাগু হতে চলেছে ৩ ফৌজদারি আইন ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম। ব্রিটিশ আমলের অপরাধ সংক্রান্ত আইনকে আপাদমস্তক বদলে ফেলে আনা হয়েছে নয়া এই আইন। তবে শুরু থেকেই এই আইনের বিরোধিতায় সরব হয়েছে বিরোধী শিবির। অভিযোগ তোলা হয়েছে, বিজেপি নিজেদের সুবিধা করতে এই আইন এনেছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে। নয়া ৩ আইন নিয়ে বিরোধী শিবিরের অভিযোগকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে নয়া আইনকে সমর্থন করলেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, দেশে যে পরিবর্তন আসতে চলেছে এটা তারই ইঙ্গিত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অতীতের ফৌজদারি আইনের পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি ছিল মনে করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: জেলে কেজরিওয়ালকে ধীরে ধীরে হত্যার চেষ্টা! বিস্ফোরক অভিযোগ আপের]
শনিবার নয়াদিল্লিতে এক আলোচনাসভায় অংশ নিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, পুরনো আইনের সবচেয়ে বড় খামতি এটাই যে সেটি বহুকালের পুরনো। ওই আইন ১৮৬০, ১৮৭৩ সাল থেকে চলে আসছে। নয়া আইন সংসদে পেশ হওয়া স্পষ্টভাবে বার্তা দেয় যে ভারত বদলাচ্ছে। সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলার জন্য প্রয়োজন নয়া রণকৌশল। প্রধান বিচারপতি বলেন, অতীত পদ্ধতির সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল যে নির্যাতিত বা নির্যাতিতাদের গুরুত্ব না দেওয়া। নয়া আইনে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন এসেছে। এখানে তাঁদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে যে কোনও অপরাধের তদন্তকে নিশ্চিত করা হয়েছে। যে বা যারা অপরাধের শিকার তাঁদের স্বার্থকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে আইনে। যে কোনও অপরাধের বিরুদ্ধে অভিযানের সময়ে প্রমাণের অডিও ভিজ্যুয়াল রেকর্ডিং পদ্ধতির পাশাপাশি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
[আরও পড়ুন: দূরদর্শনের গৈরিকীকরণ! লোগো বিতর্কে মুখ খুললেন প্রসার ভারতীর প্রধান]
গত বছর ২১ ডিসেম্বর সংসদে পাশ হওয়ার পর ২৫ ডিসেম্বর ৩ ফৌজদারি আইনকে অনুমোদন দেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। নয়া আইনে সন্ত্রাসবাদ, দেশদ্রোহিতার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের পাশাপাশি, প্রযুক্তি নির্ভর ভারতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আনা হয়েছে নয়া ৩ ফৌজদারি আইন। এখানে চালু হচ্ছে কম্পিউটার কেন্দ্রিক এফআইআর গ্রহণের ব্যবস্থা। পাশাপাশি ধর্ষণ বা গণপিটুনির মতো একাধিক ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের বিধান দেওয়া হয়েছে আইনে।