সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। যেখানে ঝাঁজাল সুরে বিরোধীদের আক্রমণ শানাতে শোনা গেল মোদিকে। অভিযোগ করলেন, কিছু বিরোধী দল সুষ্ঠু আলোচনা চায়। তবে মুষ্টিমেয় কিছু লোক নিজেদের স্বার্থে গুন্ডামি করে সংসদকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে।
শীতকালিন অধিবেশনে সংসদে (Parliament Winter Session) সুস্থ আলোচনার আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, "এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় যে কিছু মানুষ সংসদে নিজের রাজনৈতিক ফায়দা খোঁজার চেষ্টা করছে। এদেরকে দেশের জনতা ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। তারপরও মুষ্টিমেয় কিছু লোক গুন্ডামি করে সংসদকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। সংসদের কার্যকলাপ বন্ধ করে তাঁদের লাভ কিছুই হয় না, যেটা হয় তা হল জনতা ওদের থেকে আরও দূরে সরে যায়। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, বার বার জনতার কাছে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরও এদের শোধরানোর কোনও লক্ষণ নেই।"
বিরোধীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ''সংসদের মধ্যে এই সব লোকেদের গুণ্ডামির সাজা জনতা ভোটের বাক্সে দিয়ে দেয়। এরা দেশের গণতন্ত্রকে সম্মান করে না। নিজেরাও কাজ করে না অন্যদেরও করতে দেয় না। বিরোধীদের কাছে অনুরোধ করব জনগণের আবেগকে সম্মান করুন। বিরোধীদের উচিৎ জনগণের সমস্যার পক্ষে লড়াই করা। কিন্তু বিরোধীরা তা করছে না। দেশের জনগণের সমস্যা এদের কাছে কোনও গুরুত্ব পায় না।" সংসদের কাজকর্ম যাতে ব্যাহত না হয় তার জন্য বিরোধী শিবিরের কাছে সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী।
শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বের কাছে যাতে এই সংসদের মাধ্যমে সদর্থক বার্তা যায় তার জন্য সদস্যদের কাছে আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, "আমি আশা করব নতুন যারা সংসদে আসছেন যাঁদের কাছে নয়া বিচারধারা ও কিছু করার তাগিদ রয়েছে তারা এগিয়ে আসুন। আজ গোটা বিশ্ব ভারতকে দেখছে। ভারত আজ যে উচ্চতায় দাঁড়িয়ে রয়েছে তা সত্যিই গর্বের। এখান থেকে বার্তা যাক গোটা বিশ্বে। আসুন আমরা হারিয়ে যাওয়া সময়ের জন্য অনুতপ্ত হই। আমি এই অধিবেশন খুব ফলপ্রসূ হবে আশা করি। যা বিশ্বব্যাপী ভারতের মর্যাদাকে শক্তিশালী করবে এবং নতুন সংসদ সদস্যদের শক্তি দেবে।"
তবে প্রধানমন্ত্রীর বিরোধীদের নিশানায় নিয়ে সদর্থক আলোচনার আবেদন জানালেও, সংসদে শাসক দলকে ঘিরে ফেলতে তৈরি বিরোধী শিবির। এই অধিবেশনে বিরোধীদের অন্যতম অস্ত্র হতে চলেছে আদানির ঘুষ কেলেঙ্কারি, মণিপুর, যৌথ সংসদীয় কমিটিতে গায়ের জোরে নিয়ম ভেঙে ওয়াকফ বিল পাস করিয়ে নেওয়া– ইত্যাদি বিষয়।