সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভাবিত নয়াদিল্লির সাউথ ব্লক। বাংলাদেশের নতুন সরকার নিয়ে 'ধীরে চলো' নীতি নিয়েছে তারা। বিষয়টি নিয়ে ব্রিটেনের বিদেশ সচিব ডেভিড ল্যামির সঙ্গে কথা বলেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। বাংলাদেশে কারা সরকার গড়ছে, সেদিকে নজর রাখছে নয়াদিল্লি। তারা কী নীতি নেয়, সেদিকে তাকিয়ে সাউথ ব্লক। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে বিদেশ সচিব রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, ভারত শুধুমাত্র বাংলাদেশের জনগণকে নিয়ে চিন্তিত। এর পরই উঠছে প্রশ্ন, হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েও ইউনুস সরকারকে কৌশলী বার্তা ভারতের?
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কয়েক দশক পুরনো। সেই আবেগ ও ঐতিহ্যকে মান্যতা দিয়ে হাসিনাকে আপাতত আশ্রয় দিয়েছে নয়াদিল্লি। তবে পড়শি দেশে কারা সরকার গড়ছে, কেমন হবে তাদের নীতি, সেদিকে নজর রাখছে সাউথ ব্লক। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেদিকে নজর রেখেই এদিন তাৎপর্যপূর্ণ বিবৃতি দিল নয়াদিল্লি। রণধীর জয়সওয়াল বলছে, আজ সন্ধেয় বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেবে। সেদিকে নজর রাখছে ভারত। এ প্রসঙ্গে একটা কথা স্পষ্টভাবে জানানো দরকার, ভারত সরকার ও এদেশের মানুষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের মানুষ। তাদের এই বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: সিবিআই জালে বন্দি কেজরি! ২০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ল জেল হেফাজত]
এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ‘ধীরে চলো’ নীতিই নিয়েছে ভারত। দেশের পূর্ব দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে ৪ হাজার ৯৬ কিমি ভাগ করে ভারত। হাসিনাকে আশ্রয় দিলে নয়াদিল্লিকে ‘হস্তক্ষেপকারী’ হিসেবে ধরে নিয়ে বড়সড় ষড়যন্ত্র করতে পারে বাংলাদেশের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো। উপরন্তু সে দেশের সরকারের মাধ্যমে চাপ বাড়াতে পারে পাকিস্তান-চিনও। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাই বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করবে নয়াদিল্লি। তা বলাইবাহুল্য।