সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা মহামারীর জেরে ত্রস্ত বিশ্ব। এই রোগের সঙ্গে লড়াইয়ে নির্দিষ্ট কোনও দাওয়াই না থাকায় দ্রুত টিকাকরণে জোর দিয়েছে সব দেশই। এহেন পরিস্থিতিতে এবার চর্তুদেশীয় কোয়াড-এর (QUAD) মঞ্চকে ব্যবহার করে প্রতিষেধক উৎপাদনের পথে ভারত। এই মর্মে জাপানের সঙ্গে কথাও এগিয়েছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: কোটি কোটি টাকা জালিয়াতি, দক্ষিণ আফ্রিকায় সাত বছরের জেল মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্রীর]
ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা মিলে তৈরি হয়েছে ‘Quadrilateral Security Dialogue’ বা QUAD গোষ্ঠী। মূলত, চিনের বিরুদ্ধে কৌশলগত ও প্রতিরক্ষার তাগিদে তৈরি হওয়া এই জোট মহামারী আবহে টিকা উৎপাদন করতে চলেছে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি ভ্যাকসিন উৎপাদনের যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে ভারত ও জাপান। এই বিষয়ে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি বৈঠকও হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের আধিকারিকরা, ডিপার্টমেন্ট অফ বায়োটেকনোলজি এবং জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের প্রতিনিধিরা। ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলিতে টিকা প্রদানের জন্য জাপান পুঁজি সরবরাহে রাজি। গোটা বিষয়টিই হবে কোয়াড-এর অধীনে। প্রতিষেধক উৎপাদনে আগ্রহী বেসরকারি সংস্থাকে টাকা দেবে জাপানের আর্থিক সংস্থা। প্রযুক্তিগত সহায়তা আসবে ভারতের ডিপার্টমেন্ট অফ বায়োটেকনোলজির মাধ্যমে। আমেরিকাও এই উদ্যোগে অংশ নেবে। গত মার্চে কোয়াড সামিটে প্রতিষেধক উৎপাদন নিয়ে একমত হয়েছে চার দেশ।
উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ টিকাপ্রস্তুতকারক দেশ হল ভারত। বিশ্বে সমস্ত ভ্যাকসিনের ৬০ শতাংশই তৈরি হয় ভারতে। এছাড়া বিশ্ববাজারে ভারতের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের চাহিদাও অনেক বেশি। আর তাই করোনা ভ্যাকসিন তৈরিতে ভারতের পরিকাঠামোয় ভরসা রাখছে কোয়াড। আর দ্রুততার সঙ্গে ভ্যাকসিন তৈরি, সেই ভ্যাকসিন প্রদানের কাজ সম্পন্ন করা এবং করোনার নতুন স্ট্রেনকে রুখতেই এই পদক্ষেপ। আর সেজন্য ভারতকে আর্থিকভাবে সাহায্য করতেই এই সিদ্ধান্ত। এই প্রসঙ্গে হোয়াইট হাইসের এক আধিকারিক বলেছেন, “যত তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিনেশনের কাজ সম্পন্ন হবে, তত তাড়াতাড়ি করোনার নতুন স্ট্রেনকে হারানো সম্ভব।”