সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে (Afghanistan) কায়েম হয়েছে তালিবানের শাসন। আর সেই সঙ্গে হাওয়া লেগেছে ‘গ্লোবাল জেহাদ’-এর পালে। এবার আফগান সেনাবাহিনীর হাত থেকে কেড়ে নেওয়া অত্যাধুনিক মার্কিন বন্দুক ও মিসাইলে আরও বলীয়ান হয়ে ঊঠেছে জেহাদি সংগঠনটি। এহেন পরিস্থিতিতে এবার কাজখস্তানের মাটিতে সামরিক মহড়ায় শক্তিপ্রদর্শন করল ভারতীয় ফৌজ।
[আরও পড়ুন: Afghanistan Crisis: খুন করা হবে যৌনকর্মীদের, পর্নসাইট দেখে তালিকা তৈরি করছে তালিবান]
বুধবার অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর থেকে কাজাখ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সেদেশে যৌথ মহড়া শুরু করেছে ভারতীয় ফৌজ। এই সামরিক মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘KAZIND-21’। সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখ পর্যন্ত চলবে এই ‘মিলিটারি এক্সারসাইজ’। মূলত, সন্ত্রাস দমন ও দুই বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বাড়িয়ে তুলতেই এই মহড়া চলছে। কাজাখ বাহিনীর ১২০ জন ও ভারতীয় সেনার ৯০ জন জওয়ান এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তানে তালিবানের উত্থানে সিঁদুরে মেঘ দেখছে কাজাখস্তান। শক্তিবৃদ্ধি হওয়ায় এবার সীমান্তের ওপার থেকে জেহাদিরা হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দেশটি।
ঐতিহাসিক ভাবেই মধ্য এশিয়ার প্রগতিশীল দেশ কাজাখস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে ভারতের। ২০১৭ সালে এসসিও সামিটে যোগ দিতে কাজাখস্তান সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করে কাজাখ প্রেসিডেন্ট নূরসুলতান নাজারভায়েবের সঙ্গে একাধিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। কিন্তু এবার পরিস্থিতি পালটেছে। পড়শি আফগানিস্তানে তালিবানের শাসন কায়েম হওয়ায় প্রবল উদ্বিগ্ন আস্তানা। তাই নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ‘বন্ধু’ ভারতের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক আরও মজবুত করে তুলছে কাজাখস্তান।
উল্লেখ্য, তালিবানের কাবুল দখলের পর থেকেই উদ্বিগ্ন আফগান সীমান্ত লাগোয়া তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানের মতো প্রাক্তন সোভিয়েত গণরাজ্যগুলি। শুধু তাই নয়, আফগানিস্তানের সঙ্গে সরাসরি সীমান্ত ভাগ না করলেও চিন্তায় রয়েছে কাজাখস্তানও। তারা মনে করছে কায়া বৃদ্ধি করে এবার পড়শি দেশগুলিতে ছড়িয়ে পর্বে তালিবান। সেখানেও সন্ত্রাসের পালে হওয়া লাগবে। এই আশঙ্কা যে অমূলক নয়, তার প্রধান কারণ হচ্ছে তালিবানের (Taliban) অন্দরে বনহু তাজিক, উজবেক ও বিদেশি যোদ্ধারা রয়েছে। তারা দেশে ফিরে জেহাদে উসকানি দিতে সক্ষম। ফলে নিজেদের সেনাবাহিনী মজবুত করতে রাশিয়ার থেকে আরও অস্ত্র কেনা শুরু করেছে মধ্য এশিয়ার দেশগুলি। বলে রাখা ভাল, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙলেও তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানে সেনাঘাঁটি রয়েছে রাশিয়ার।