সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এশিয়া কাপের (Asia Cup) দিনক্ষণ অনেক আগে ঘোষণা হলেও সূচি এখনও জানায়নি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। শুক্রবার খুব সম্ভবত এশিয়া কাপের সূচি ঘোষণা করে দেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত যা ঠিক হয়ে আছে, তাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ডাম্বুলায় খেলবে ভারতীয় দল। বিসিসিআই কর্তা অরুণ ধুমাল এই মুহূর্তে ডারবানে রয়েছেন আইসিসি-র কর্মসমিতির বৈঠকের জন্য। তিনি এক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব তথা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল প্রধান জয় শাহের সঙ্গে পিসিবি-র নতুন ম্যানেজমেন্টে কমিটির চেয়ারম্যান জাকা আশরাফের সঙ্গে আসন্ন এশিয়া কাপের সূচি নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনাও হয়েছে।
খবর নিয়ে যা জানা যাচ্ছে, তাতে ডাম্বুলায় ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) মহারণ হতে পারে ৫ সেপ্টেম্বর। ভারতের বাকি ম্যাচের সূচি কী হতে চলেছে, সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট কিছু জানা যাচ্ছে না। শুক্রবার সরকারিভাবে পুরো সূচি ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। তবে পূর্বনির্ধারিত হাইব্রিড মডেল অনুযায়ী চারটে ম্যাচ পাকিস্তানে আর বাকি নটা ম্যাচ শ্রীলঙ্কায় হবে, সেটা জানিয়ে দিয়েছেন ধুমাল। একইসঙ্গে ভারতের মাটিতে বাবর আজমরা বিশ্বকাপে যে ভারতে খেলতে আসবেন না বলে পাক ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফ থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল, তারও পাল্টা দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘এখন কেন এসেছেন?’ প্রশ্ন তুলে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে আসা বিধায়ককে সপাটে চড় মহিলার]
এসিসির এক বোর্ড সদস্য সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “ওরা কী করবে না করবে, সেটা ওদের সম্পূর্ণ আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমরা এটা নিয়ে একদমই ভাবছি না। আমরা সবাই জানি, পাক বোর্ডের তরফে যে হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, সেই অনুযায়ী টুর্নামেন্ট হচ্ছে। পাকিস্তানের ক্রীড়ামন্ত্রীকে একটু মনে করিয়ে দিতে চাই, এশিয়া কাপে চারটে ম্যাচ পাকিস্তানে আর নটা ম্যাচ শ্রীলঙ্কায় হবে, তাতে সম্মতি জানিয়ে পিসিবির তরফ থেকে প্রেস রিলিজ দেওয়া হয়েছিল।”
একইসঙ্গে এসিসির ওই সদস্য এটাও বলে দিয়েছেন, বিশ্বকাপের ব্যাপারে পাকিস্তান বোর্ড আট বছর সময়কালের এমপিএ-তে (মেম্বার্স পার্টিসিপেশন এগ্রিমেন্ট) সই করেছিল। যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৩-এ। এসিসির সদস্যের কথায়, “আপনি যখন এমপিএতে সই করেছেন, তখন আইসিসি ইভেন্টে খেলতে আপনি বাধ্য। আর গ্লোবাল বডি যে ভেন্যুতে ইভেন্টের আয়োজন করবে, সেখানেই খেলতে হবে। একমাত্র যদি নিরাপত্তাজনিত কোনও ইস্যু থাকে, একমাত্র তখনই ভেন্যু বদলের ভাবনা-চিন্তা করা হয়। কিন্তু এছাড়া কোনও দেশ যদি নাম তুলে নেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। একইসঙ্গে বিশাল আর্থিক জরিমানাও করা হতে পারে।”