সংক্ষিপ্ত স্কোর: ওয়ার্ল্ড জায়ান্টস ১৭০/৮ (ব্রায়েন- ৫২, রামদিন ৪২*, পঙ্কজ ২৬-৫)
ইন্ডিয়া মহারাজাস ১৭৫/৪ (তন্ময় ৫৪, ইউসুফ ৫০*, ব্রেসনান ২১-৩)
ইন্ডিয়া মহারাজাস ৬ উইকেটে জয়ী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইডেন গার্ডেন্স মাতালেন লেজেন্ডরা। ক্রিকেট থেকে তাঁরা সরে গিয়েছেন এখন। কেরিয়ারের মধ্যগগনে যখন ছিলেন, তখন তাঁদের গনগনে তেজ ছিল। ক্রিকেট জীবনের এই পড়ন্ত বেলায় শুক্রবারের ইডেনে লেজেন্ডরাই ছড়িয়ে দিলেন এক মুঠো সোনা রোদ্দুর। ম্যাচে ইন্ডিয়া মহারাজাস শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে হারাল ওয়ার্ল্ড জায়ান্টসকে (World Giants)। প্রথমে ব্যাট করে ওয়ার্ল্ড জায়ান্টস করে ৮ উইকেটে ১৭০ রান। রান তাড়া করতে নেমে ইউসুফ পাঠান (Yusuf Pathan) ও তন্ময় শ্রীবাস্তব জ্বলে ওঠেন। শেষের দিকে ইরফান পাঠান (Irfan Pathan) চটজলদি ২০ রান করেন। ৮ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় ইন্ডিয়া মহারাজাস (India Maharajas)।
শুক্রবার ওয়ার্ল্ড জায়ান্টস টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের অধিনায়ক জ্যাক কালিস। ওয়ার্ল্ড জায়ান্টসের হয়ে ওপেন করেন কেভিন ও ব্রায়েন ও হ্যামিলটন মাসাকাদজা। ওপেনিং জুটিতে ৫০ রান জোড়েন এই দুই ওপেনার। মাসাকাদজা করেন ১৮ রান। কেভিন ও ব্রায়েন অবশ্য খেলেন ৫২ রানের ইনিংস। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের শেষ ওভারের নায়ক যোগিন্দর শর্মার বলে ফেরেন তিনি। অধিনায়ক কালিস অতীতে বহু গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে। এদিন তিনি করেন মাত্র ১২ রান। দীনেশ রামদিন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে যান ৪২ রানে। থিসারা পেরেরা ১৬ বলে ২৩ রান করেন। বাকিরা অবশ্য রান করতে ব্যর্থ। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে পঙ্কজ সিং ২৬ রানে দেন ৫ উইকেট। বহু যুদ্ধের সৈনিক হরভজন একটি উইকেট নেন।
[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে বাদ পড়ার পর সান্ত্বনা পুরস্কার, ভারতীয় এ দলের অধিনায়ক হলেন সঞ্জু]
ওয়ার্ল্ড জায়ান্টসের রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ফেরেন ইন্ডিয়া মহারাজাসের অধিনায়ক বীরেন্দ্র শেহওয়াগ (৪)। আরেক ওপেনার পার্থিব প্যাটেলকে (১৮) ফেরান ব্রেসনান। তার কিছুক্ষণ পরেই আউট হন কাইফ (১১)। ৫০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পরে যখন চাপ অনুভব করতে শুরু ইন্ডিয়া মহারাজাস, ঠিক সেই সময়ে তন্ময় শ্রীবাস্তব ও ইউসুফ পাঠান ইনিংস গোছানোর কাজ শুরু করেন। ইউসুফ ও তন্ময় ১০৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। তন্ময় ৩৩ বলে পঞ্চাশে পৌঁছান। তিনি অবশ্য ম্যাচ শেষ করে যেতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৫৪ রানে তিনি ডাগ আউটে ফেরেন। অন্যদিকে ইউসুফ পাঠান ৩৫ বলে ৫০ করেন। শেষের দিকে ইরফান পাঠান ৯ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থেকে যান। পাঠান ভাইরা ম্যাচ বের করে নেন।