সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার মালদ্বীপের (Maldives) প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিয়েছেন মহম্মদ মুইজু। বরাবরই চিনপন্থী হিসাবে পরিচিত তিনি। নির্বাচনে জিতেই জানিয়েছিলেন, মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনাদের সরিয়ে দেওয়া হবে। তাঁর এই আচরণে ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখছে ভারত। এহেন পরিস্থিতিতে আশার আলো দেখা গেল অবশেষে। দুই দেশই সম্মত হল আলোচনায়। ভারতীয় সেনাদের সেদেশে রাখার বিষয়ে ‘গ্রহণযোগ্য সমাধানে’র পথে হাঁটার লক্ষ্যেই এই আলোচনা হবে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু ও মুইজুর মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে। সূত্র জানাচ্ছে, ওই বৈঠকেই মালদ্বীপে ভারতীয় সেনাদের রেখে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। দুপক্ষই সম্মত হয়েছে এবিষয়ে সমাধান খুঁজতে বৈঠকে বসার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে।
[আরও পড়ুন: মন্দিরের পাম্প থেকে জলের বদলে বেরচ্ছে দুধ! ব্যাপারটা কী?]
উল্লেখ্য, মুইজুর নির্বাচনী সাফল্যের অন্যতম কারণ ভারত বিরোধিতা। এটাই তাঁর তুরুপের তাস। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ভোটে জিতলে দেশ থেকে সরানো হবে ভারতীয় সেনাকে। নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন এই নেতা সাফ জানিয়ে দেন, মালদ্বীপে ভারতীয় সেনা (Indian Army) থাকলে দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এবং কেবল ভারত নয়, সমস্ত বিদেশি সেনাকেই তাঁরা সরিয়ে দেবেন। রিজিজুর সঙ্গে সাক্ষাতেও সেই প্রসঙ্গ তোলেন মুইজু। জানিয়ে দেন, ভারতীয় সেনাদের যেন সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
তবে এরই পাশাপাশি চিকিৎসাক্ষেত্রে ভারতীয় হেলিকপ্টার ও বিমানের সাহায্য যে তাঁরা পেয়েছেন, সেকথা জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন নয়া প্রেসিডেন্ট। মালদ্বীপের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই দেশের সরকারই সম্মত হয়েছে এই বিষয়ে সমাধানের জন্য বৈঠকে বসতে। কেননা ভারতীয় সেনা মালদ্বীপের সাধারণ মানুষের স্বার্থে কাজ করে। তাই মাদক চোরাচালান রুখতে ও ওষুধপত্র এক স্থান থেকে অন্যত্র নিয়ে যেতে ভারতীয় সেনার হেলিকপ্টার ও বিমানের সাহায্য যে প্রয়োজন তা মেনে নিয়েছে মালদ্বীপ। এখন দেখার আগামিদিনে বৈঠকের মাধ্যমে কোনও সুরাহা মেলে কিনা।