ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাস্টার্স: ১৪৮/৭ (স্মিথ ৪৫, সিমন্স ৫৭, বিনয় কুমার ২৬/৩)
ভারত মাস্টার্স: ১৪৯/৪ (রায়ডু ৭৪, শচীন ২৫, নার্স ২২/২)
৬ উইকেটে জয়ী ভারত।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠিক যেন পিছনে ফেলে আসা রূপকথার অতীত। রবিবার আন্তর্জাতিক মাস্টার্স লিগের ফাইনালে (IML 2025 Final) শচীনের নেতৃত্বে বুড়ো হাড়ের ভেলকি দেখাল ভারত। শচীন, অম্বাতি রায়ডু, যুবরাজদের দাপুটে ইনিংসের জেরে কার্যত দুরমুশ হল ব্রায়ান লারার নেতৃত্বাধীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাস্টার্স লিগে চ্যাম্পিয়ন হল শচীনের ভারত।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে লারা অবসর নিয়েছেন ২০০৭ সালে, আর শচীন ২০১২। অথচ একটা সময় ছিল যখন এই দুই তারকার ব্যাটিং দেখতে মুখিয়ে থাকত বিশ্ব। আলোচনা-সমালোচনায় সংবাদপত্রের কত কালি যে খরচ হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় পর মাস্টার্স লিগের দৌলতে ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন বিশ্বজয়ী শচীন তেণ্ডুলকর ও ব্রায়ান লারা। ২০ ওভারের টানটান উত্তেজনার এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৭ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১৪৮ রান তোলে লারার দল। লেন্ডেল সিমন্স (৫৭) ও ডোয়েন স্মিথ (৪৫) ছাড়া আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি ভারতীয় বোলারদের সামনে। ৬ বলে ৬ রান করে আউট হন ব্রায়ান লারা। ভারতের বিনয় কুমার ৩টি উইকেট নেন। শাহবাজ নাদিম ২টি, স্টুয়ার্ট বিনি ও পবন নেগি নেন একটি করে উইকেট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৪৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে মাঠে নামেন অম্বাতি রায়ডু ও শচীন। ১৮ বলে ২৫ রান করে অষ্টম ওভারে বেস্টের বলে ক্যাচ আউট হন মাস্টার ব্লাস্টার। এরপর রায়ডুর ব্যাটে ভর করে ৬ উইকেট বাকি থাকতেই ১৭.১ ওভারে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। ৫০ বলে ৭৪ রান করার পর ১৫ তম ওভারে আউট হন রায়ডু। ততক্ষণে অবশ্য ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে। বাকি কাজটা সামলে দেন যুবরাজ সিং (১৩) ও স্টুয়ার্ট বিনি (১৬)। এছাড়া গুরকিরাত সিং মান করেন ১২ বলে ১৪ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২টি উইকেট নেন আসলে নার্স। এছাড়া সুলেমান বেন ও টিনো বেস্ট একটি করে উইকেট নিয়েছেন।