সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ নিয়ে ফুঁসছে পাকিস্তান। নিষ্ফল অক্রোশে নয়াদিল্লির সঙ্গে বাণিজ্য থেকে শুরু করে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ইসলামাবাদ। এবার পড়শি দেশটির সঙ্গে ভারতও আর সৌজন্য দেখতে রাজি নয়। আর সে জন্যই পাকিস্তানের সঙ্গে ‘হাইড্রোলজিক্যাল ডেটা’ বা নদী সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান করার চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিল ভারত। বুধবার এ কথা জানিয়েছেন ‘ইন্দাস ওয়াটার’-এর ভারতের কমিশনার পি কে সাক্সেনা।
[আরও পড়ুন: পৃথিবীর অক্সিজেন ভাণ্ডার এখন বিষাক্ত গ্যাসের খনি, জ্বলছে আমাজনের অরণ্য]
১৯৮৯ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের এই চুক্তি হয়েছিল। তার পর থেকে সীমান্তের নানা জঙ্গি কার্যকলাপে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদত সত্ত্বেও প্রতি বছরই সৌজন্যের খাতিরে এই চুক্তি পুনর্নবীকরণ করা হত। কিন্তু এবার আর কোনও রকম সৌজন্যের পথে হাঁটতে চাইছে না দিল্লি। তাই এই চুক্তিও আর রিনিউ করবে না ভারত।
এই চুক্তি অনুযায়ী, নদীর জল বিপদ সীমা ছাড়ালে সেই সংক্রান্ত তথ্য পাকিস্তানকে জানিয়ে দেয় ভারত। এর ফলে আসন্ন বন্য পরিস্থিতি সামাল দিতে আগাম প্রস্তুতি নিতে পারে সে দেশ। কৃষি আর সেচের ক্ষেত্রে জলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার উপর বন্যায় কৃষি বা জল বিদ্যুৎ উন্নয়ন প্রকল্পে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়, তা ভারতের থেকে পাওয়া ‘হাইড্রোলজিক্যাল ডেটা’র ভিত্তিতে অনেকটাই সামাল দেওয়া সম্ভব হত। উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালে বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যস্থতায় ইন্দাস ওয়াটার ট্রিটি বা সিন্ধু জল চুক্তি সই করে ভারত ও পাকিস্তান। এই চুক্তির শর্ত মতে ছয়টি নদীর মধ্যে তিনটি-বিপাশা, ইরাবতী ও শতদ্রুর জলে ভারতের অধিকার। বাকি তিনটি নদী-সিন্ধু, চন্দ্রভাগা ও বিতস্তার জল পাকিস্তান ব্যবহার করে।
তাই এই চুক্তি পুনর্বহাল না করার ফলে পাকিস্তান যে সমস্যায় পড়বে, তাতে সন্দেহ নেই। তবে এ দিন ‘হাইড্রোলজিক্যাল ডেটা’ আদান-প্রদানের চুক্তি পুনর্বহাল না করার কথা জনালেও এর সঙ্গে সিন্ধু জল চুক্তির কোনও সম্পর্কে নেই বলে জানিয়েছেন ভারতের ‘কমিশনার অব ইন্দাস ওয়াটার’ পি কে সাক্সেনা।
[আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে যুদ্ধ করুক ভারত, জল্পনা উসকে দাবি ট্রাম্পের]
The post পাকিস্তানকে নদী সংক্রান্ত তথ্য দেবে না ভারত, প্লাবনের আশঙ্কায় ভীত ইসলামাবাদ appeared first on Sangbad Pratidin.