সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জন্মলগ্ন থেকেই ভারতকে রক্তাক্ত করার ছক করে এসেছে পাকিস্তান (Pakistan)। দুই দেশের মধ্যে একাধিক যুদ্ধও হয়েছে। তাছাড়া, নিয়ন্ত্রণরেখায় গোলবর্ষণ-সহ জঙ্গিদের বরাবর মদত দিয়ে আসছে পাক সেনা ও আইএসআই। এহেন পরিস্থিতিতে এবার সীমান্তে শান্তি ফেরাতে দুই দেশের মধ্যে ব্রিগেড কমান্ডার স্তরের বৈঠক হয় বলে খবর।
[আরও পড়ুন: ফের রক্তে ভাসল মায়ানমার, সীমান্ত লাগোয়া গ্রামেই এয়ারস্ট্রাইক সেনার]
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ২০০৩ সালের সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি মেনে জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখায় গোলাবর্ষণ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। দুই দেশের সেনা আধিকারিদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার পর এই পদক্ষেপে রাজি হয়েছে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ। দুই দেশের ‘ডিরেক্টর জেনারেলস অফ মিলিটারি অপারেশনস’ বা ডিজিএমও এক যৌথ বিবৃতিতে জানান, “সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে পারস্পরিক সমস্যা মিটিয়ে নিতে পদক্ষেপ করতে রাজি হয়েছেন দুই দেশের সেনা আধিকারিকরা। নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি যাতে সঠিকভাবে মেনে চলা হয়, সেই বিষয়ে নজর রাখতে রাজি হয়েছে দুই দেশ। ২৪ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে বা ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকেই এই চুক্তি কার্যকর হয়। কোনও বিষয়ে মতপার্থক্য হলে হটলাইনের মাধ্যমে তা আলোচনা করা হবে। এছাড়া, দুই দেশের সেনার মধ্যে নিয়মিত বর্ডার ফ্ল্যাগ মিটিংও করা হবে। এবার সেই পথে হেঁটেই শুক্রবার পুঞ্চ রাওয়ালকোট ক্রসিং পয়েন্টে দুই দেশের মধ্যে ব্রিগেড কমান্ডার স্তরের বৈঠক হয় বলে সেনা সূত্রে খবর।
সূত্রের খবর, বৈঠকে সীমান্তের ওপারে জঙ্গিশিবির নিয়ে প্রশ্ন তোলে ভারত। নিয়ন্ত্রণরেখায় পাক সেনাবাহিনী সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি মেনে চলতে রাজি হলেও জঙ্গিদের ক্রমাগত মদত দিয়ে চলেছে। এবং এর প্রমাণও রয়েছে ভারতের হাতে। বিশ্লেষকদের মতে, লাদাখে চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে ভারত সাফ করে দিয়েছে যে প্রয়োজনে যুদ্ধে নামতে পিছপা হবে না দেশ। এই বার্তা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে পৌঁছে গিয়েছে পাকিস্তানের কাছেও। বিশেষ করে দিল্লিতে ‘জাতীয়তাবাদী’ সরকার থাকায় আপাতত ভারতকে ঘাঁটাতে চাইছে না পাক সেনা। এছাড়া, চিনের সঙ্গে ভারতের সংঘাত কিছুটা মিটতেই কার্যত ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে রাওয়ালপিণ্ডি।