সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ‘মালাবার ২১’ (Malabar 21) নৌ মহড়া শুরু করল ভারত-সহ Quad-এর অন্তর্ভুক্ত চার দেশ। আর স্বভাবতই এর ফলে আরও চাপে চিন (China)। ২৬ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে এই মালাবার নৌ মহড়া। যা চলবে আগামী ২৯ আগস্ট পর্যন্ত।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রকাশিত বিবৃতি অনুযায়ী, ভারতীয় নৌসেনার সঙ্গে মার্কিন নৌবাহিনী, জাপানের নৌসেনা এবং অস্ট্রেলিয়ান নেভি চলতি বছরের মালাবার নৌ মহড়ার প্রথম পর্যায়ে অংশ নিয়েছে। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের পক্ষ থেকে টুইট করেও সেকথা জানানো হয়েছে। বর্তমানে ওই অঞ্চলে গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার রণবিজয়, গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট শিবালিক, অ্যান্টি-সাবমেরিন Corvette Kadmatt এবং গাইডেড মিসাইল Corvette Kora-র মতো যুদ্ধজাহাজ ওই এলাকায় মোতায়েন রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ভারতীয় খাবারের নিন্দা করে সমালোচনার মুখে মার্কিন লেখক, চাপে পড়ে চাইলেন ক্ষমাও]
উল্লেখ্য, ১৯৯২ থেকে সমুদ্র সুরক্ষার লক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে আমেরিকার সঙ্গে যৌথ নৌ মহড়া শুরু করেছিল ভারত। ২০১৫ সালে মালাবার মহড়ায় যুক্ত হয়েছিল জাপানের নৌবাহিনীও। গোড়া থেকেই তা নিয়ে বেজিং সন্দিহান ছিল। তাদের ধারণা, ভারতীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের ক্ষমতা জাহির করতেই এই মহড়া করা হয়। এরপর ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়াকে মালাবার নৌ মহড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার চারদেশকে নিয়ে আয়োজিত হচ্ছে এই নৌ মহড়ায় অংশ নিল অস্ট্রেলিয়া।
প্রসঙ্গত, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বরাবরই আধিপত্য বিস্তারের স্বপ্ন রয়েছে লাল চিনের। বিশেষ করে দক্ষিণ চিন সাগর বরাবর অন্যান্য দেশকে চাপে রেখে নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপন করতে চেয়েছে বেজিং। বিগত কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ চিন সাগরে সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে বেজিং। প্রায় গোটা জলরাশিটাই নিজেদের বলে দাবি করে কমিউনিস্ট দেশটি। পালটা, সেখানে আণবিক শক্তি চালিত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী পাঠিয়ে শক্তিপ্রদর্শন করছে আমেরিকা (America)। বিশ্লেষকদের মতে, ‘ড্রাগন’কে রুখতে বদ্ধপরিকর আমেরিকা, ভারতের মতো দেশ। তাই এই মালাবার নৌ মহড়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত কূটনীতিকদের।