সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর কয়েক আগে প্যাংগং হ্রদের উত্তর এবং দক্ষিণ তীর জুড়ে চিনা ফৌজের সেতু নির্মাণের তৎপরতা দেখা গিয়েছিল উপগ্রহ চিত্রে। এর পরে ম্যাক্সার প্রকাশিত উপগ্রহ চিত্রেও খোঁজ মিলেছিল, আকসাই চিন এলাকায় লাল ফৌজ স্থায়ী বাঙ্কার এবং বড় বড় সুড়ঙ্গের । এবার অধিকৃত শাকসগাম উপত্যকায় রাস্তা ও অন্যান্য পরিকাঠামো নির্মাণে অভিযোগ উঠল বেজিংয়ের বিরুদ্ধে। যার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত।
লাদাখে সিয়াচেন হিমবাহের পূর্বপ্রান্তের শাকসগাম উপত্যকায় চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র রাস্তা এবং সুড়ঙ্গ নির্মাণের খবর প্রকাশ্যে আসার পরই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, "বাস্তবে তথ্য পাল্টানোর চেষ্টা করছে চিন। আমরা এই বেআইনি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে চিনের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছি। শাকসগাম উপত্যকা ভারতের ভূখণ্ডের অংশ।"
[আরও পড়ুন: ‘নাম রাহুল বা লালু হলে আমরা কী করব?’ নেমসেক প্রার্থী মামলায় ‘বিরক্ত’ সুপ্রিম কোর্ট]
উল্লেখ্য, কারাকোরাম ওয়াটারশেডের ৫,২০০ বর্গ কিলোমিটার উত্তরে একটি এলাকা শাকসগাম উপত্যকা-সহ শাকসগাম ট্র্যাক্ট নামে পরিচিত। ১৯৪৭ সাল থেকে এটি পাকিস্তানের দখলে ছিল। পরবর্তীতে পাক সরকার এটি চিনকে হস্তান্তর করে দেয়। কিন্তু শাকসগাম উপত্যকাকে ভারত পূর্বতন জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের অংশ বলে দাবি করে। সাম্প্রতিক উপগ্রহ চিত্রগুলোতে যে ছবি যাচ্ছে, চিন এমন একটি রাস্তা তৈরি করেছে, যা শাকসগাম উপত্যকার নীচের দিকে প্রবেশ করেছে। এবং সিয়াচেন হিমবাহ থেকে ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে ঢুকেছে যা ভারতীয় ভূখণ্ডের অংশ। জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে ওই রাস্তাটির কাজ শুরু হয়।
[আরও পড়ুন: লোকসভায় কটা আসন পাবে তৃণমূল? কংগ্রেস-বামেদেরও ভবিষ্যদ্বাণী করলেন মোদি]