সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে অপব্যবহার করে হিংসা, ধর্মস্থানে হামলা বা সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চালানো যাবে না। এমন ঘটনা রুখতে যথাযথ ব্যবস্থা গড়তে হবে। কানাডাকে (Canada) সাফ এই বার্তা দিল ভারত (India)। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকে কানাডাকে বেশ কিছু পদক্ষেপ করার সুপারিশ দিয়েছে ভারত। প্রসঙ্গত, গত কয়েকমাসে একাধিকবার কানাডার হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর ও খলিস্তানি স্লোগান লেখার ঘটনা ঘটেছে।
গত শনিবার রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) মানবাধিকার কাউন্সিলের রিভিউ বৈঠকে ভারতের পাশাপাশি হাজির ছিল কানাডা, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা-সহ একাধিক দেশ। মানব পাচার আটকানো নিয়ে কানাডার রিপোর্ট পেশ করলে তাকে স্বাগত জানায় ভারত। কাউন্সিলে ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি কে এস মহম্মদ হুসেন বলেন, গঠনমূলক আলোচনার আবহে কানাডাকে বেশ কয়েকটি বিষয়ে সুপারিশ করতে চায় ভারত। মূলত দুটি বিষয় তুলে ধরা হয় এই সুপারিশে।
[আরও পড়ুন: ‘ভারতকে পালটে দিয়েছেন মোদি’, লন্ডনে প্রধানমন্ত্রীর জয়গান জয়শংকরের মুখে]
প্রথমত, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে হিংসা ছড়ানো এবং উগ্রপন্থার প্রচার করা- এই দুটি বিষয় রুখতে কানাডার অন্দরেই বিশেষ পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। দ্বিতীয়ত, উপাসনাস্থল ও সংখ্যালঘুদের উপর হামলা থামাতে হবে। ঘৃণাভাষণ থামানোর জন্য কড়া আইন প্রণয়ন করতে হবে কানাডাকে। তবে ভারতের এই সুপারিশ নিয়ে কানাডার তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
উল্লেখ্য, জানুয়ারি মাস থেকে কানাডার নানা প্রান্তে একাধিক হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সংঘাতের আবহেই বিতর্ক বাড়ান কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। দেশের পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে সাফ জানিয়ে দেন, কানাডার মাটিতে কানাডার নাগরিক খুনে ভারতের হাত রয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি এখনও। তবে ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকে। এহেন পরিস্থিতিতেই কড়া পদক্ষেপের সুপারিশ ভারতের।