সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহামারির ভয়াবহতা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের অর্থনীতি। করোনাকালে অর্থাৎ ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে দেশের অর্থনীতি যে অবস্থায় ছিল তার তুলনায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে। সোমবার সংসদে আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করে শক্তিশালী ভারতের ছবি আঁকলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। শুধু তাই নয়, আগামী অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির গতির স্থিতাবস্থা নিয়েও আশাবাদী অর্থমন্ত্রী।
এদিন সংসদে আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করে নির্মলা সীতারমণ বলেন, কোভিডের ধাক্কা সামলে সরকারের সুচিন্তিত নীতির সুবাদে অর্থনীতি যে কোনও ধরনের আর্থিক, ভূ-রাজনৈতিক এবং সামাজিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। এবং আগামী অর্থবর্ষে এই আর্থিক উন্নয়নের ধারা বজায় থাকবে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৩ অর্থবর্ষে গোটা বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধি ছিল মাত্র ৩.২ শতাংশ। সেখানে বাকি দেশের তুলনায় ভারতের বৃদ্ধি ছিল চোখে পড়ার মতো। আর্থিক সমীক্ষায় (Economic Survey) আগামী অর্থবর্ষে অর্থাৎ ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হারের অনুমান রাখা হয়েছে ৬.৫ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশ।
[আরও পড়ুন: গ্যাংস্টারের প্রেমে পড়ে ঘর ছেড়েছিলেন, রহস্যমৃত্যু সেই IAS আধিকারিকের স্ত্রীর]
নির্মলা সীতারমণের দাবি, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে চলেছে অন্তত ৮.২ শতাংশ। চলতি অর্থবর্ষের চারটি ত্রৈমাসিকের মধ্যে তিনটিতেই আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশের বেশি থাকবে বলে দাবি অর্থমন্ত্রীর। চলতি অর্থবর্ষের এই বৃদ্ধির হার আগামী অর্থবর্ষেও বজায় থাকবে বলে দাবি করা হয়েছে আর্থিক সমীক্ষায়। সেটার ভিত্তিতেই বৃদ্ধির হার হতে চলেছে ৬.৫ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশ। আর্থিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সরকারের পুঁজিগত ব্যয় বৃদ্ধি এবং বিপুল বেসরকারি বিনিয়োগ দেশের আর্থিক বৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। যার ফলে, মোট মূলধন বৃদ্ধি ৯ শতাংশ বেড়েছে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের রাজস্ব ঘাটতি (জিডিপির শতাংশ হিসাবে) পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ২০২৩ সালে ১.৬ শতাংশ বেড়েছে।
[আরও পড়ুন: হরপ্পা সভ্যতার নাম বদলে সিন্ধু-সরস্বতী! ফের বিতর্কে NCERT]
তবে দেশের খাদ্যসামগ্রীতে মূল্যবৃদ্ধির হার যে বেড়েছে সে কথা মেনে নিয়েছে সরকার। এই মুহূর্তে খাদ্যসামগ্রীতে মুদ্রাস্ফীতির আর ৭.৫ শতাংশ। যা কিনা বেশ উদ্বেগজনক। তবে খুচরো পণ্যে মুদ্রাস্ফীতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে বলে দাবি সরকারের। গত অর্থবর্ষে খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি যেখানে ৬.৭ শতাংশ ছিল, সেখানে চলতি অর্থবর্ষে সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ৫.৫ শতাংশ।