সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিষেধাজ্ঞা শিথিল করল আমেরিকা। ইরানের কাছে থেকে তেল কিনলে আর লাগু হবে না কোনও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা।গোপনে পরমাণু অস্ত্র তৈরির অভিযোগ তুলে ইরানের তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা। এই নিষেধাজ্ঞা লাগু হবে আগামী ৫ নভেম্বর থেকে। আমেরিকা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যে সমস্ত দেশ এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইরানের কাছ থেকে তেল কিনবে তাদের বিরুদ্ধে কূটনৈতিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যবসা ক্ষেত্রে একাধিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে, অতিরিক্ত শুল্ক বসানো হবে, এমনকি মার্কিন ব্যাংকগুলিকেও তাঁরা ব্যবহার করতে পারবে না। কিন্তু আমেরিকার সেই নির্দেশ ভারত মানবে না তা নয়াদল্লির তরফ থেকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ভারত জানিয়ে দিয়েছিল, ইরানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক ভেঙে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মানা সম্ভব নয়। কারণ, ইরান ভারতকে দীর্ঘদিন ধরেই কম দামে তেল দিয়ে আসছে, তাছাড়া প্রয়োজনে ধারেও তেল কেনা সম্ভব। এমনকি সম্প্রতি মার্কিন ডলারের পরিবর্তে বিনিময় প্রথাতেও তেল বিক্রির প্রস্তাব এসেছে আরব দেশটির কাছে থেকে। ভারতের এই অবস্থানে রীতিমতো ক্ষুব্ধ ছিল হোয়াইট হাউস। তাই আমেরিকাকে ‘তুষ্ট’ করতে ৩০ শতাংশ তেল আমদানি কমিয়ে দেয় ভারত। এর মধ্যে রিলায়েন্সের মতো বড় সংস্থা ইরানের অশোধিত তেল আমদানি এক্কেবারে বন্ধ করে দিয়েছে। মূলত মার্কিন চাপেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
[লোকসভার আগেই সংসদে রাম মন্দির বিল, ঘোষণা বিজেপি সাংসদের]
অনেকে মনে করছেন মার্কিন ক্ষোভে পড়ার আশঙ্কাতেই তেল আমদানি কমিয়েছিল ভারত। এমনিতেই রাশিয়ার কাছে S-400 বিমান কেনায় ক্ষুব্ধ আমেরিকা। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রজাতন্ত্র দিবসে ভারতের আমন্ত্রণও অস্বীকার করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই আমেরিকাকে আর চটাতে চাইছিল না নয়াদিল্লি। তাই নিষেধাজ্ঞা লাগু হওয়ার আগেই আমেরিকার কিছুটা মানভঞ্জন করার চেষ্টা হিসেবেই নয়াদিল্লির এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
[প্রধানমন্ত্রীকে ‘পাখির বিষ্ঠা’ বলে বিতর্কে রাহুল ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেত্রী]
এরপরই অবস্থান বদল করে হোয়াইট হাউস। জানানো হয়, ইরানের রাজস্ব সংক্রান্ত আয় কমাতে আমেরিকা এখনও বদ্ধপরিকর।তবে, আলোচনার ভিত্তিতে কয়েকটি দেশকে ইরানের তেল কেনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া-সহ মোট আটটি দেশ। তবে, পূর্ণাঙ্গ তালিকা এখনও প্রকাশ করা হয়নি।