সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছরের শুরুতেই ভয়াবহ আকার নিয়েছিল দেশের করোনা গ্রাফ। ওমিক্রন-সহ নতুন নতুন স্ট্রেনের দাপটে পরিস্থিতি কার্যত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। কিন্তু কড়া বিধিনিষেধ জারি করে এবং টিকাকরণে জোর দিয়ে দেশের করোনা সংক্রমণে ধীরে ধীরে লাগাম টানা সম্ভব হয়েছে। দৈনিক পরিসংখ্যানই দিচ্ছে তার প্রমাণ।
রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১১৬ জন। গতকাল যা ছিল সাড়ে তিন হাজারের বেশি। ধীরে ধীরে কমছে অ্যাকটিভ কেসও। বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৮ হাজার ৬৯। অ্য়াকটিভ কেসের হার কমে দাঁড়িয়েছে ০.০৯ শতাংশে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় প্রায় সব রাজ্যেই শিথিল হচ্ছে বিধিনিষেধ।
[আরও পড়ুন: ‘স্ত্রীর পুরুষাঙ্গ রয়েছে’, বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ স্বামী!]
সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমলেও খানিকটা চিন্তায় রাখছিল দেশের মৃত্যুহার। যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডের বলি ৫ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৫০ জন।
একই সঙ্গে স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭২ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৫ হাজার ৫৫৯ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৭১ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৮০ কোটির বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন ২০ লক্ষের বেশি। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ফের মনে করিয়ে দিয়েছে, সংক্রমণ থেকে বাঁচতে জোড়া ডোজের পর বুস্টার ডোজও প্রয়োজন। টিকাকরণের পাশাপাশি চলছে টেস্টিংও। গতকাল যেমন ৭ লক্ষের ৬১ হাজার ৭৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।