সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করবেন না। আমেরিকার কাছে নাকি এমনটাই আবেদন জানিয়েছিল ভারত। 'বন্ধু' নয়াদিল্লির এই আবেদন শুনেই নাকি হাসিনা বিরোধিতার সুর খানিকটা নরম করেছিল ওয়াশিংটন। চলতি মাসেই বাংলাদেশে আওয়ামি লিগ সরকারের পতন হয়েছে। তার পরেই প্রকাশ্যে এসেছে ভারত-আমেরিকা কথোপকথনের রিপোর্ট।
মার্কিন সংবাদপত্র দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের মতে, চলতি বছরের শুরুতেই বাংলাদেশ ইস্যুতে কথা হয়েছিল ভারত-আমেরিকার। নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পরিস্থিতি নিয়ে সুর চড়িয়েছিল ওয়াশিংটন। বাংলাদেশ পুলিশের একটি অংশের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়। হাসিনার নাম উল্লেখ করে তুমুল সমালোচনা করে মার্কিন প্রশাসন। গণতন্ত্রের বিরোধী বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও খবর শোনা যায় প্রশাসনের অন্দরে।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরের বিধানসভাতেও ইন্ডিয়া জোটে জট! ভোট ঘোষণার আগেই ‘একলা চলা’র বার্তা আবদুল্লাদের]
এহেন পরিস্থিতিতে আসরে নামে ভারত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভারতীয় আধিকারিক জানান, বাংলাদেশের আওয়ামি লিগ সরকারের প্রতি সুর নরম করতে অনুরোধ জানানো হয় আমেরিকার কাছে। কারণ হিসাবে বলা হয়, বাংলাদেশে যদি বিরোধীরা ক্ষমতা দখল করে তাহলে ভারতের জাতীয় সুরক্ষা বিঘ্নিত হতে পারে। কারণ বিরোধীরা বাংলাদেশকে 'ইসলামিক হাব'-এ পরিণত করবে। ওই আধিকারিকের মতে, "আমেরিকা হয়তো বিষয়টিকে কেবল গণতন্ত্রের দৃষ্টিতে দেখবে। কিন্তু ভারতের পক্ষে বিষয়টি আরও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।"
ভারতের তরফে আমেরিকাকে সাফ বার্তা দেওয়া হয়, বাংলাদেশ ইস্যু নয়াদিল্লির পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমেরিকার তরফে বারবার ভারতকে কৌশলগত বন্ধু বলে দাবি করা হয়। তাই কৌশলগত ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে কিছুটা ঐক্যমত থাকা প্রয়োজন। ভারতের এই আবেদনের পর থেকেই নাকি বাংলাদেশ ইস্যুতে সুর নরম করে জো বাইডেন প্রশাসন। তবে আমেরিকার তরফে বলা হয়, এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে ভারতের কোনও ভূমিকা নেই।