সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের মরশুমেও দেশজুড়ে চলেছে টিকাকরণ অভিযান। রোগী চিহ্নিত করতে নিয়মিত হয়েছে টেস্টিংও। আর সেই কারণে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে মারণ করোনা ভাইরাসকে। তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই অগ্রিম প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যানও বলে দিচ্ছে, বিধিনিষেধ জারি থাকার সুফল মিলেছে। কারণ গোটা দেশে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষেরও কম।
রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৪ হাজার ১৪৬ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। যা গতকালের থেকে কম। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে দেশের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪০ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭১৯। ২৪ ঘণ্টায় ফের কমল মৃতের সংখ্যাও। একদিনে মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪৪ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ৪ লক্ষ ৫২ হাজার ১২৪ জন।
[আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ের পর মধ্যপ্রদেশ, বিসর্জনের শোভাযাত্রায় পথচারীদের পিষল বেপরোয়া গাড়ি]
সংক্রমণ হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি স্বস্তি দিচ্ছে করোনার নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগী ১ লক্ষ ৯৫ হাজার ৮৪৬ জন। যা গতকালের থেকে বেশ খানিকটা কম। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৩৪ লক্ষ ১৯ হাজার ৭৪৯ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৭৮৮ জন।
টিকাকরণকে হাতিয়ার করেই ধীরে ধীরে করোনা জয়ের পথে এগিয়ে যেতে চাইছে দেশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৯৭ কোটি ৬৫ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫৪০ জন করোনার টিকা পেয়েছেন। এর মধ্যে গতকালই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ৪১ লক্ষ ২০ হাজারের বেশি নাগরিককে। টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। গতকাল যেমন ১১ লক্ষের বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।