shono
Advertisement

ডোকলামে আস্ত গ্রাম বানিয়ে ফেলেছে চিন, উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ্যে আসতেই কড়া বার্তা ভারতের

ভারতের সীমান্ত বরাবর রাস্তা বানিয়েছে বেজিং।
Posted: 02:43 PM Jul 22, 2022Updated: 02:43 PM Jul 22, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোকলাম সীমান্তে গ্রাম বানাচ্ছে চিন। এমন খবর ছড়িয়ে পড়তেই কড়া বার্তা দিল ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার দিকে কড়া নজর রাখছে ভারত। দেশকে রক্ষা করতে সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সাম্প্রতিক একটি স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গিয়েছে, ডোকলামের থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরেই একটি গ্রাম বানাচ্ছে চিন। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বরাবর রাস্তাও বানাচ্ছে বেজিং।

Advertisement

স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, “ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে, এমন ঘটনাবলির দিকে নজর রাখছে সরকার। এধরনের ঘটনায় যেন দেশের কোনও ক্ষতি না হয়, সেই বিষয়েও সচেতন রয়েছে সরকার। নিরাপত্তারক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।” জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে ডোকলাম সীমান্তের যে অংশে ভারত-চিন বিবাদ হয়েছিল, এখন সেখানে রীতিমতো জনবসতি তৈরি হয়ে গিয়েছে। চিনের তরফ থেকে এলাকার নাম দেওয়া হয়েছে প্যাংডা গ্রাম।

[আরও পড়ুন: কেরলে সন্ধান মিলল মারাত্মক সংক্রামক আফ্রিকান সোয়াইন জ্বরের, নেই প্রতিষেধক]

প্যাংডা গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় পাকা রাস্তাও তৈরি করে ফেলেছে বেজিং। জানা গিয়েছে, প্রতিকূল প্রাকৃতিক পরিস্থিতিতেও যেন ভাল ভাবে গাড়ি চলাচল করতে পারে, সেই কথা মাথায় রেখেই রাস্তা বানানো হয়েছে। উপগ্রহচিত্রে দেখা গিয়েছে, নবনির্মিত প্যাংডা এলাকায় প্রচুর ছোট ছোট বাড়ি বানানো হয়েছে। আর প্রতিটি বাড়ির সামনেই পার্ক করা রয়েছে একটি করে গাড়ি। অঞ্চলটি ভূটানের (Bhutan) অভ্যন্তরে বলেই মনে করা হচ্ছে। তলায়-তলায় ভূটানের জমি দখল করেই তিল তিল করে এই অঞ্চল গড়ে তোলা হয়েছে বলে দাবি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আমো-ছু নদীর অববাহিকার বিস্তৃত অঞ্চল এবং ভূটানের ১০ কিলোমিটার অঞ্চল দখল করেই এই নতুন গ্রামটি তৈরি করা হয়েছে। আমো-ছু নদী অববাহিকা অঞ্চলটি সামরিক কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর গায়েই রয়েছে সংবেদনশীল শিলিগুড়ি করিডর। এই চিকেন-নেক করিডরই বাকি দেশের সঙ্গে যুক্ত করেছে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিকে। তাই ওই রাজ্যগুলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে করিডর দখলে রাখতেই হবে। চিনের হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে, ডোকলাম সীমান্তে নিজেরদের দখল রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা।

[আরও পড়ুন: ‘স্বাধীনতা দিবসের দু’দিন আগে থেকেই বাড়িতে টাঙান জাতীয় পতাকা’, আরজি প্রধানমন্ত্রীর]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement