সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পড়শি দেশগুলির সঙ্গে কোনওকালেই সদ্ভাব ছিল না চিনের। দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের অতি আগ্রাসী মনোভাবে চটে লাল জাপান, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনেই, ফিলিপিন্স–সহ একাধিক দেশ।
এহেন পরিস্থিতিতে এবার ফিলিপন্সকে যৌথভাবে অত্যাধুনিক ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল (BrahMos supersonic cruise missile) জোগান দিতে চলেছে ভারত (India) ও রাশিয়া (Russia)। শুধু ফিলিপিন্স নয়, ইন্দোনেশিয়া–সহ মধ্য এশিয়ার একাধিক দেশকেও এই মিসাইলটি দেবে দুই দেশ। এমনটা জানিয়েছেন খোদ রাশিয়ান ডেপুটি চিফ অব মিশন রোমান বাবুসকিন। আগামী বছরের শুরুতেই চুক্তিতে সই করবে ভারত–ফিলিপিন্স দুই দেশ। ফলে আরও চিন্তা বাড়বে চিনের। এমনটাই মনে করছেন কূটনীতিকরা।
[আরও পড়ুন: সাগরে চিনকে টেক্কা, জলে নামল ভারতের পঞ্চম স্করপেন সাবমেরিন ‘INS Vagir’]
এই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘‘ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল নিয়ে করা সবরকম পরীক্ষা সফল হয়েছে। মূলত এর রেঞ্জ এবং মারণক্ষমতা বাড়াতেই এই পরীক্ষাগুলো করা হয়েছিল। পশ্চিম এশিয়ার বহু দেশ এখন এই মিসাইল নিজেদের ভাঁড়ারে চাইছে। ফিলিপিন্সকে এই মিসাইল জোগান দেওয়ার মাধ্যমে আমরা অন্যান্য দেশের হাতে এই মিসাইল তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করব।’’
উল্লেখ্য, রাশিয়া ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে তৈরি ব্রহ্মস মিসাইল।২০০৬ সালে স্থলসেনা ও নৌসেনার অস্ত্র ভাণ্ডারে যুক্ত হয় ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র (Missile)। প্রাথমিকভাবে এর মারণ ক্ষমতা ২৯০ কিলোমিটার থাকলেও পরে তা বাড়িয়ে ৪০০ কিলোমিটার করা হয়। এর গতিবেগ ২.৮ ম্যাক। অর্থাৎ শব্দের থেকেও তিনগুণ বেশি এই মিসাইলটির গতিবেগ। প্রতি সেকেন্ডে এক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে ব্রহ্মস। যে কোনও টার্গেটে ৯৯.৯৯ শতাংশ নিখুঁত হামলা চালাতে পারে। ‘অগ্নি’ ও ‘পৃথ্বী’র মতো ব্যালিস্টিক মিসাইলের মতোই মারাত্মক এই ক্রুজ মিসাইল। একবার এই মিসাইল লঞ্চ করা হয়েছে গেলে শত্রুর পক্ষে একে আটকানো কার্যত অসম্ভব। ব্রহ্মস মিসাইলের চরিত্র ও গতিবিধি আঁচ করতে পারে না শত্রুপক্ষ। ইতিমধ্যে বায়ুসেনা, স্থলসেনা এবং নৌসেনা–ভারতের তিন সেনাবাহিনীতেই যুক্ত করা হয়েছে এই ব্রহ্মস মিসাইলকে। মিসাইলের মারণ ক্ষমতার পরীক্ষাও সফলভাবে করা হয়েছে।