সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিবর্তিত কেন্দ্রীয় নীতির সুফল। FDI অর্থাৎ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে নতুন রেকর্ড গড়ল ভারত। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে দেশের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১.৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা কিনা আগের বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি। প্রত্যাশিতভাবেই আরও একবার প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে অন্য সব রাজ্যকে পিছনে ফেলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) রাজ্য গুজরাট।
কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য বলছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে দেশের মোট FDI-এর ৩৭ শতাংশই এসেছে গুজরাটে। দ্বিতীয় স্থানে মহারাষ্ট্র। সেরাজ্যে এসেছে দেশের মোট প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ২৭ শতাংশ। ১৩ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে আরেক বিজেপি শাসিত রাজ্য কর্ণাটকে। বাংলায় এসেছে দেশের মোট প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (Foreign Direct Investment) এক শতাংশ। তালিকায় এরাজ্য (West Bengal) রয়েছে নবম স্থানে। টাকার অঙ্কে গুজরাটে মোট FDI-এর পরিমাণ প্রায় ১ লক্ষ ৭৭ হাজার ৫৩ কোটি। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে মহারাষ্ট্রে মোট প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা। কর্ণাটকে এসেছে ৭৮ হাজার ১৬০ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে বাংলায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ৪ হাজার ৩০৯ কোটি টাকার। এখানে বলে রাখা দরকার,বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্য রাজ্যগুলিকে টেক্কা দিয়ে আসছে গুজরাট। এই নিয়ে লাগাতার চারবছর FDI তালিকায় শীর্ষে তারা।
[আরও পড়ুন: করোনা সামালাতে আরও খরচ করা উচিত! ফের কেন্দ্রের ‘ভুল’ ধরলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়]
তবে শুধু গুজরাট (Gujarat) নয়, গোটা দেশেই সার্বিকভাবে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়েছে। যা মোদি সরকারের পরিবর্তিত নীতিরই ফল। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের বাজারে উৎপাদন বাড়ানো এবং বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার শক্ত করার লক্ষ্যে গত একবছরে FDI-এর ক্ষেত্রে নজিরবিহীন উদারতা দেখিয়েছে কেন্দ্র। সিঙ্গল ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত। প্রতিরক্ষা খাতেও ৭৪ শতাংশ পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগে ছাড়পত্র দিয়েছে সরকার। এমনকী, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতেও প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আহ্বান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছেন,এই মহামারীকে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করতে চায় ভারত। আগামী দিনে বিশ্বে বিনিয়োগের সেরা ঠিকানা হবে ভারত। যার ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা উৎসাহ পাচ্ছেন বলেই মত বাজার বিশেষজ্ঞদের।