সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়ানডে সিরিজে চুনকাম হলে কী হবে, চলতি টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে মিচেল স্যান্টনারের নিউজিল্যান্ড (India vs New Zealand)। আজ, রবিবার টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে হার্দিক পাণ্ডিয়ার ভারত যদি আবার হেরে যায়, তা হলে একই সঙ্গে সিরিজ হেরে যাবে টিম। কিন্তু রাঁচিতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ভারতের সেরা পারফর্মার ওয়াশিংটন সুন্দর মনে করেন না যে, সে রকম কিছু হতে চলেছে। বরং তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস যে, টিম প্রত্যাবর্তন করবেই। প্রথম ম্যাচে হারকে খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখার কিছু নেই।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দু’উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি হাফসেঞ্চুরি করেন ভারতীয় অলরাউন্ডার ওয়াশিংটন। নিজের বলে দুর্ধর্ষ একটা ক্যাচও নেন। কিন্তু তার পরেও ম্যাচ জিততে পারেনি ভারত। উল্টে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ১৭৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৫৫-৯ স্কোরের বেশি এগোতে পারেনি। ম্যাচ হারে ২১ রানে। কিন্তু ওয়াশিংটন অতশত ভাবছেন না। বলছেন, “এক-আধটা ম্যাচে এ রকম হতেই পারে। মনে হয় না, প্রথম ম্যাচে হার নিয়ে তোলপাড় ফেলে দেওয়ার কোনও দরকার আছে। আমাদের যদি শুরুটা ভাল হত, খেলার রেজাল্ট বদলে যেতে পারত। কেউ কেউ বলছেন, পিচে টার্ন ছিল। ছিল তো। আর কোনও কোনও জায়গায় সেটা থাকবেও।” সঙ্গে যোগ করেছেন, “আমরা আইপিএলে এই ধরনের উইকেটে খেলেছি। দেশের জার্সিতেও খেলেছি। বললাম না, একটা হার নিয়ে অত দুর্ভাবনার কিছু হয়নি।”
[আরও পড়ুন: চুলোয় যাক বিচ্ছেদের গুঞ্জন, সানিয়ার সাফল্যে সারপ্রাইজ পার্টি দিলেন শোয়েব! দেখুন ভিডিও]
কিন্তু সাংবাদিককুল ওয়াশিংটনের (Washington Sundar) এ হেন উত্তরের পরেও সন্তুষ্ট হয়নি। কেউ কেউ পাল্টা প্রশ্ন করেন যে, টপ অর্ডারে পরিবর্তন করার কোনও প্রয়োজন আছে কি না? যার জবাবে দারুণ একটা কথা বলেন ভারতীয় তরুণ। তাঁর জবাব, “সত্যিই আপনার মনে হয়, বদল দরকার আছে? নিজের পছন্দের বিরিয়ানি একবার না পেলে, আপনি সেই রেস্তঁরায় যাওয়াই বন্ধ করে দেবেন নাকি? আমাদের ব্যাটিং লাইন আপের দিকে তাকিয়ে দেখুন! সবাই কত কত রান করেছে। আবারও বলছি, এক-আধদিন এ রকম হতেই পারে। নিউজিল্যান্ডও তো রায়পুরে চুরমার হয়ে গেল। তাই বলে ওরা তো টপ অর্ডার বদলাতে যায়নি। দিনের শেষে ক্রিকেট একটা খেলা। আর খেলায়, একটা দিন খারাপ যেতেই পারে।”
ওয়াশিংটন যাই বলুন না কেন, কিছু কিছু চিন্তার জায়গা আছে। যেমন দুই পেসার উমরান মালিক এবং অর্শদীপ সিংয়ের খরুচে বোলিং। এক ওভারে ১৬ রান দিয়েছেন উমরান। অর্শদীপ আবার শেষ ওভারে দেন ২৭ রান। টপ অর্ডার নিয়েও দুশ্চিন্তার জায়গা আছে। আগুনে ফর্মে থাকা শুভমান গিল সবেমাত্র চারটে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন দেশের হয়ে। সময় লাগবে তাঁর। কিন্তু ঈশান কিষাণ, দীপক হুডারা পর্যাপ্ত সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হচ্ছেন। সিরিজ যদি বাঁচিয়ে রাখতে হয়, রবিবার তাঁদের ব্যাট থেকে রান দরকার। তবে তারও আগে দরকার, পেসারদের রান দেওয়া বন্ধ করা।
রাঁচিতে ৪ ওভার বল করে ৫১ রান দিয়েছেন অর্শদীপ। উমরানকে এক ওভারের বেশি বলই দেওয়া যায়নি। ওয়াশিংটন সেটা নিয়েও ভাবছেন না। “অর্শদীপ কত কত উইকেট নিয়েছে। আইপিএলে। দেশের জার্সিতে। বুঝতে হবে যে, আমরাও মানুষ। যাদের সঙ্গে খেলছি, তারা কড়া প্রতিদ্বন্দ্বী। একটা দিন এ রকম যেতেই পারে। আর মালিক শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ভাল করেছে বলেই টিমে রয়েছে। ঘণ্টায় দেড়শো কিলোমিটার গতিতে কেউ বল করলে সে সব সময় এক্স ফ্যাক্টর,” বলে দিয়েছেন ওয়াশিংটন। সব ঠিক আছে। লখনউয়ে আজ ভারত জিতলে সব ধামাচাপা পড়ে যাবে। কিন্তু না জিতলে? তখন প্রশ্ন ওঠা থামানো যাবে তো?