shono
Advertisement

উত্তর-পূর্বের রাজ্যে পণ্য পাঠাতে বাংলাদেশের বন্দর চায় ভারত

আরও মজবুত দুই দেশের সম্পর্ক।
Posted: 03:02 PM Nov 14, 2022Updated: 09:05 PM Nov 14, 2022

সুকুমার সরকার, ঢাকা: দ্রুত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে পণ্য পাঠাতে বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামে পণ্য রাখার জন্য বিশেষ জায়গা বা ইয়ার্ড চেয়েছে ভারত। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, চট্টগ্রাম থেকে ভারতের অসম-সহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে পণ্য পরিবহণে সময় ও অর্থের অনেকটাই সাশ্রয় হয়। তাই এই আবেদন জানিয়েছে নয়াদিল্লি।

Advertisement

জানা গিয়েছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা নিশ্চিতের পাশাপাশি অর্থনীতি শক্তিশালী করতে এমন সুবিধা চায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের বার্ষিক অধিবেশনে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজকুমার রঞ্জন সিং বাংলাদেশকে (Bangladesh) এই অনুরোধের কথা জানান। তবে ঢাকা সূত্রে খবর এখনও পর্যন্ত নয়াদিল্লির তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক আবেদন জানানো হয়নি। কোনও আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব মেলেনি বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষও।

[আরও পড়ুন: ধারে জ্বালানি তেল কিনতে চান শেখ হাসিনা, রোহিঙ্গাদের নিয়ে পালটা দাবি সৌদির]

চট্টগ্রাম বন্দররের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম. শাহজাহান জানিয়েছেন, এই বিষয়ে কোনও প্রস্তাব এখন তাঁর কাছে আসেনি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ভারত-বাংলাদেশ চুক্তির অধীনে দুই দেশের মধ্যে পরীক্ষামূলক ট্রান্সশিপমেন্ট চালান পাঠানো মাত্র এক সপ্তাহ আগে শেষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত সেপ্টেম্বরে ভারত সফরের সময় ভারত ও বাংলাদেশকে ট্রানজিট সুবিধার প্রস্তাব দেন। অর্থাৎ ভারতের সমুদ্র, স্থল ও নৌপথ ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য পরিবহণ করতে পারবে বাংলাদেশ। সেই প্রস্তাবের অবশ্য এখনও কোনও চুক্তি হয়নি। উন্নত বন্দরে ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা নির্বিঘ্ন করার জন্য নির্ধারিত স্থান বা ইয়ার্ড রাখা হয়। যেখানে শুধু সেই পণ্যই থাকে। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের কেউই এখনও সেই ডেডিকেটেড ইয়ার্ড রাখেনি। কারণ এখনও পরীক্ষামূলক চালান চলছে। পুরোদমে কাজ শুরু হলে নির্ধারিত ইয়ার্ড থাকবে। পানগাঁও বন্দরে ভারতের ট্রানজিট পণ্য নৌপথে আসায় সেখানে পৃথক স্থান রাখা আছে। এখন ভারত সেই স্থান রাখার প্রস্তাব দিয়েছে কি না বন্দর ব্যবহারকারীদেরও কেউ অবগত নন।

এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটি (পোর্ট অ্যান্ড শিপিং) কো-চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক শাহ বলেন, ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দিতে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি, ইয়ার্ড ফ্যাসিলিটি আছে সেটি আগে থেকেই বন্দর জানিয়েছে। এখন পুরোদমে ট্রান্সশিপমেন্ট পণ্য পরিবহণ শুরু হলে সেই অনুযায়ী স্থান বরাদ্দ রাখতে পারবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, পায়রা বন্দর এবং বে টার্মিনাল চালু হলে অবশ্যই প্রতিবেশী দেশের কার্গো ভলিউম অনেক বেড়ে যাবে।

[আরও পড়ুন: হত্যা, মাদক কারবার-সহ ২৩ মামলার খাঁড়া মাথার উপর, বাংলাদেশে গুলিযুদ্ধে নিহত আসামী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement