সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আধুনিক যুদ্ধে নির্ণায়ক হয়ে ওঠতে পারে বিমানবাহিনী। শত্রুর আকাশ দখল করে ফেলা মানেই কার্যত অর্ধেক যুদ্ধ জয়। তাই এবার প্রতিপক্ষের বিমানবাহিনীকে নজরে রেখে নতুন ও ত্যাধুনিক অস্ত্রের সফল পরীক্ষা করল ভারত।
[আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দফায় কোভিড টিকা নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী, ভ্যাকসিন পেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীরাও]
জানা গিয়েছে, ভারতের এই নয়া হাতিয়ারটির নাম ‘স্মার্ট অ্যান্টি এয়ারফিল্ড ওয়েপন’। অস্ত্রটি তৈরি করেছে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO)। ১২৫ কিলো ওজনের এই ক্ষেপণাস্ত্রটির ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হামলা চালাতে সক্ষম। মূলত, শত্রুপক্ষের বিমানবন্দর ধ্বংস করায় এই অস্ত্রের কাজ। এটির মাধ্যমে রানওয়ে, রাডার স্টেশন, জ্বালানি ভাণ্ডার ও বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা প্রতিপক্ষের যুদ্ধবিমানগুলিকে ধ্বংস করে দেওয়া যায়। অস্ত্রটি বেশ কিছুদিন ধরে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বৃহস্পতিবার ওড়িশা উপকূলে হক-আই জেট বিমান থেকে নির্ধারিত লক্ষ্যে আঘাত হানে ‘স্মার্ট অ্যান্টি এয়ারফিল্ড ওয়েপন’টি। ফলে রীতিমতো খুশি সামরিক বাহিনী। কারণ পাকিস্তান ও চিনের বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিকে এবার সহজেই নিশানা করতে পারবে ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলি। তাই দু’টি ফ্রন্টে অর্থাৎ দুই দেশের সঙ্গে একযোগে লড়াই শুরু হলেও অনেকটা মজবুত জায়গায় থাকবে ভারতীয় সেনা।
এদিকে, এই নয়া অস্ত্রের সফল পরীক্ষায় প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হওয়ার পথে আরও এক কদম এগিয়ে গিয়েছে ভারত বলেই মত বিশ্লেষকদের। কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতেই ক্যাবিনেটের বৈঠকে ‘আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি রপ্তানিতে সম্মতি দেওয়া হয়। অস্ত্র রপ্তানির মাধ্যমে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৩৬ হাজার কোটি) আয়ের লক্ষমাত্রা রয়েছে সরকারের। এখনও পর্যন্ত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে শুধুমাত্র যন্ত্রাংশ রপ্তানি করত ভারত (India)। কিন্তু এবার আকাশ মিসাইল রপ্তানিতে কেন্দ্রের সবুজ সংকেত পাওয়া গিয়েছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক স্তরে অস্ত্রের বাজারে নিজের উপস্থিতি জানান দেবে ভারত বলেই মত বিশ্লেষকদের।