সুকুমার সরকার, ঢাকা: আগামিকাল অর্থাৎ বুধবারই বাংলাদেশে পৌঁছচ্ছে ভারতের উপহার দেওয়া ২০ লক্ষ করোনার ভ্যাকসিন। একথাই জানা গিয়েছে বাংলাদেশের করোনার ভ্যাকসিন সরবরাহ সংক্রান্ত দপ্তরের এক আধিকারিকের সূত্রে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের ওই ‘কোভিশিল্ড’ (Covishield) ভ্যাকসিন ঢাকাকে উপহার দিচ্ছে নয়াদিল্লি। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠকও করেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এদিকে, ভারত ভুটান এবং মলদ্বীপকে কোভিশিল্ড পাঠাচ্ছে ভারত। ভুটানকে দেড় লক্ষ এবং মলদ্বীপকে এক লক্ষ কোভিশিল্ডের ডোজ পাঠানো হচ্ছে।
এপ্রসঙ্গে সোমবার বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালিক বলেন, “ভারত বাংলাদেশ (Bangladesh) -কে করোনা ভ্যাকসিনের কিছু ডোজ উপহার দিচ্ছে। যেকোনও সময়ে ওই টিকাগুলি আমাদের দেশে এসে পৌঁছবে।” যদিও ঠিক কত পরিমাণ ভ্যাকসিন এই মুহূর্তে পাঠানো হচ্ছে সেবিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভোটের কায়দায় ‘টিকাদান কার্ড’ দেখালেই মিলবে ভ্যাকসিন]
করোনা মহামারীর মোকাবিলার বিষয়ে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার কিছু ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। গতকালের সাংবাদিক বৈঠকে সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জাহিদ মালিক বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো করোনা ভাইরাসের বিষয়ে প্রথমে আমরাও কিছু জানতাম না। কীভাবে এই ভয়াবহ মহামারীর মোকাবিলা করা হবে তারও কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না। তাই এই বিষয়ে অব্যবস্থার অভিযোগ তোলার কোনও মানে হয় না। তবে যতদিন গিয়েছে তত এই মহামারী মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।”
আরও জানা গিয়েছে, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই ভ্যাকসিন পৌঁছবে। তার আগে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে যথাযথ পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখতে বলেছে বাংলাদেশ সরকার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছরের শেষে ভারতের বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বাংলাদেশ সফরে গিয়ে জানান, ভারত বাংলাদেশকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেবে।