সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ত্রস্ত দেশ। এই মারণ রোগের নির্দিষ্ট কোনও দাওয়াই না থাকায় ভ্যাকসিন হাতিয়ার করেই লড়াই চালাচ্ছে ভারত। এবার সেই লড়াইয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে বন্ধু রাশিয়া। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, ১ মে প্রথমবারের জন্য ভারতে আসছে রাশিয়ায় তৈরি করোনা টিকা স্পুটনিক ভি (Sputnik V)-এর ডোজ।
[আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় আলোচনা, ফোনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে কথা মোদির]
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে এক সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার ‘Russian Direct Investment Fund’-এর প্রধান কিরিল দিমিত্রিয়েভ জানান, মে মাসের ১ তারিখ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ ভারতে পৌঁছে যাবে। তিনি বলেনম “করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা ভারতের পাশে আছি। আমরা আশা করছি রাশিয়ার জোগান দেওয়া সরঞ্জমে ভারত এই মহামারীর মোকাবিলায় আরও দ্রুত কাজ করতে পারবে।” তবে প্রথম ধাপে কত ভ্যাকসিন পাঠানো হবে তা জানানো হয়নি। বলে রাখা ভাল, ২০২০ সালে বিশ্বে করোনা টিকা হিসেবে প্রথম ছাড়পত্র পায় স্পুটনিক ভি। এই ভ্যাকসিন বিশ্বে বাজারজাত করছে ‘রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড’। ইতিমধ্যে পাঁচটি শীর্ষ ভারতীয় টিকা প্রস্তুতকারী সংগঠর সঙ্গে চুক্তি করেছে রুশ সংস্থাটি। চুক্তি মতে প্রতিবছর তৈরি হবে ৮৫ কোটি ডোজ।
উল্লেখ্য, আমেরিকার (America) মডার্না এবং ফাইজারের তৈরি টিকার পরেই বিশ্বে সব থেকে বেশি কার্যকর রুশ স্পুটনিক ভি। ভারতে স্পুটনিক ভি তৈরি করে ‘ডক্টর রেড্ডিস’। তারা জানিয়েছে এদেশে স্পুটনিক ভি মানব শরীরের করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ৯১.৬ শতাংশ কার্যকর। এবং স্পুটনিক ভি-র তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। স্পুটনিক ভি-র আপৎকালীন ব্যবহারে ছাড়পত্রের জন্য ফেব্রুয়ারি মাসেই আবেদন করে ডক্টর রেড্ডিস। মঙ্গলবার সেই ছাড়পত্র পাওয়া গেল। রাশিয়ার সংস্থা ‘রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড’ (আরডিআইএফ)-এর তরফে দাবি করা হয়েছে, ভারতকে নিয়ে বিশ্বের মোট ৬০টি দেশ স্পুটনিক ভি ব্যবহার করছে। যাদের মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩০০ কোটি। যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ। আরডিআইএফ আরও দাবি করেছে, ভারতে গ্ল্যান্ড ফার্মা, হেটেরো বায়োফার্মা, পানাসিয়া বায়োটেক, স্টেলিস বায়োফার্মা, ভার্চো বায়োটেক এই পাঁচ সংস্থা বছরে ৮৫ কোটির বেশি স্পুটনিক ভি-র ডোজ তৈরি করবে।