অস্ট্রেলিয়া: ২৬৩/১০ (খাওয়াজা-৮১, হ্যান্ডসকম্ব-৭২*, শামি-৬০/৪, অশ্বিন-৫৭/৩, জাদেজা-৬৮/৩)
ভারত: ২১/০
প্রথম দিনের শেষে ভারত পিছিয়ে ২৪২ রানে
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে পা রেখেই নাগপুর টেস্টে লজ্জার হার। সিরিজে পিছিয়ে পড়া। তাই দিল্লি টেস্টে ঘুরে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর ছিল অস্ট্রেলিয়া। যদিও ভারতীয় বোলারদের জেদে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন প্যাট কামিন্সরা। পেস ও স্পিনের দাপটে প্রথম দিনই অজিবাহিনীকে গুটিয়ে দিতে সফল ভারত। সেই সঙ্গে নয়া রেকর্ডের মালিকও হয়ে গেলেন রবীন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তবে এই ঘূর্ণি উইকেটে যথেষ্ট বুঝেশুনে খেলতে হবে ভারতীয় ব্যাটারদেরও।
শুক্রবার টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কামিন্স। ওপেনার ওয়ার্নারকে দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফেরানো গেলেও ৮১ রানের ইনিংস খেলে দলকে অক্সিজেন দেন খাওয়াজা। মিডল অর্ডারে হ্যান্ডসকম্ব ছাড়া ভারতীয় সিম আর সুইংয়ে বেগ পেতে হয় বাকিদের। নাগপুর টেস্টে ব্যাটে-বলে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন মহম্মদ শামি (Mohammad Shami)। এদিনও সেই আগুনে ফর্মেই দেখা গেল তাঁকে। ১৪.৪ ওভার বল করে একাই চারটে উইকেট তুলে নেন বাংলার পেসার। আর বাকি কাজটা করেন দুই স্পিনার। জাদেজা ও অশ্বিন।
[আরও পড়ুন: ইস্তফা চেতন শর্মার, বোর্ডের অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচক প্রধানের পদে এই প্রাক্তন ক্রিকেটার]
বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির (Border-Gavaskar Trophy) প্রথম ইনিংসে এই দুই স্পিনারের ফাঁদে পড়েই উইকেট খুইয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এক ইনিংস ও ১৩২ রানে পরাস্ত হয় তারা। দিল্লিতেও ভারতীয় স্পিন অ্যাটাক সামলাতে কার্যত ব্যর্থ অজি ব্যাটাররা। তিনটি করে উইকেট পান জাদেজা ও অশ্বিন। আর সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত রেকর্ডেরও মালিক হয়ে যান তাঁরা। টেস্টে ২৫০টি উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন জাদেজা। আর তাতেই টপকে যান কিংবদন্তি কপিল দেব, রিজার্ড হ্যাডলি ও শন পোলককে। টেস্টে ২৫০ উইকেট ও ২৫০০ রান এখন জাদেজার ঝুলিতে। দ্বিতীয় দ্রুততম বোলার হিসেবে ৬২ টেস্ট খেলে এই নজির গড়লেন জাদেজা। অন্যদিকে লাল-বলের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে ১০০টি ও তার বেশি উইকেটের মালিক হয়ে গেলেন অশ্বিন। ভারতীয় হিসেবে এই নজির রয়েছে অনিল কুম্বলের।
দিনের শেষে ক্রিজে অপরাজিত অধিনায়ক রোহিত শর্মা (১৩) এবং কেএল রাহুল (৪)। কিন্তু দিল্লির ঘূর্ণি পিচে আড়াইশোর বেশি রান বিশেষ মন্দ নয়। ভারতীয় ব্যাটাররা বুঝেশুনে না খেললে চাপ বাড়তেই পারে ভারতের। তবে গত টেস্টের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারলে আবারও একটা জয় পকেটে পুরতেই পারে ভারত। আর সেই সঙ্গে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে যোগ্যতা অর্জনের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে যেতে পারবেন রোহিতরা। তবে ‘দিল্লি’ আপাতত অনেকটাই দূরে।