অস্ট্রেলিয়া: ৪৮০/১০ (খোয়াজা-১৮০, গ্রিন-১১৪, অশ্বিন-৯১/৬)
ভারত: ৩৬/০
দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারত পিছিয়ে ৪৪৪ রানে
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বর্ডার-গাভাসকর সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে পিচ নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ভারতীয় পিচ কিউরেটরকে একহাত নিতেও ছাড়েনি অজি টিম ম্যানেজমেন্ট। সবচেয়ে বেশি বিতর্ক হয়েছিল তৃতীয় টেস্ট ঘিরে। কিন্তু আহমেদাবাদে আক্ষরিক অর্থেই ফিরেছে টেস্ট ক্রিকেট। যেখানে প্রায় ৫০০ রানের কাছে পৌঁছে গেল অজিবাহিনী। স্বাভাবিক ভাবেই পাহাড় প্রমাণ রানের চাপ ঘাড়ে নিয়ে ব্যাট করতে নামা রোহিত শর্মারা মানসিকভাবে খানিকটা বিধ্বস্তই থাকবেন, তা বলাই বাহুল্য। যদিও দ্বিতীয় দিনের শেষে কোনও উইকেট হারায়নি টিম ইন্ডিয়া (Team India)।
[আরও পড়ুন: অত্যন্ত দুঃখের ঘটনা, অজি প্রধানমন্ত্রীর সামনেই অস্ট্রেলিয়ায় মন্দির ভাঙার নিন্দা মোদির]
নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে যেভাবে ব্যাটিং করলেন উসমান খোয়াজা, তা এককথায় অতিমানবীয়। টেস্টের প্রথম দিনই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নিন্দুকদের খোঁচা দিয়েছিলেন অজি তারকা। বলেছিলেন, স্পিন খেলতে সমস্যা হচ্ছে। আর এদিন ৪২২ বল খেলে ১৮০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। ২১টি বাউন্ডারি হাঁকান। যেন বুঝিয়ে দিতে চাইলেন ব্যাটিং সহায়ক পিচ হলে বিদেশের মাটিতেও ‘বাঘ’ হয়ে উঠতে পারেন তিনি। খোয়াজার দুর্দান্ত সঙ্গ দিলেন ক্যামেরন গ্রিন। ১১৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিরাট রানে পৌঁছে দিলেন তিনি।
এদিন টেল এন্ডারদের আউট করতেও রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় ভারতীয় পেসার ও স্পিনারদের। নাথান লিয়ন এবং টড মর্ফিরাও বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যথাক্রমে ৩৪ ও ৪১ রান করেন। আর অশ্বিন এদিন ছ’টি উইকেট ঝুলিতে ভরে নয়া রেকর্ডের মালিক হয়ে গেলেও স্বস্তিতে নেই ভারতীয় শিবির।
এদিন টেস্ট কেরিয়ারে এক ইনিংসে ৩২ তম পাঁচ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন তিনি। দেশের মাটিতে এই নিয়ে ২৬ বার এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট তুলে নিলেন ভারতীয় তারকা স্পিনার। আর তাতেই টপকে গেলেন কিংবদন্তি অনিল কুম্বলেকে। ঘরের মাঠে ৫৩ ম্যাচে ২৫ বার এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন কুম্বলে। ৫৬ ম্যাচে ২৬ বার সেই নজির গড়লেন অশ্বিন।
দিনের শেষে ভারতের সংগ্রহ ৩৬ রান। ক্রিজে অপরাজিত রয়েছেন রোহিত শর্মা (১৭) ও শুভমন গিল (১৮)। আহমেদাবাদে ভারতীয় ব্যাটারদের বড় রানের ইনিংস খেলতেই হবে। কারণ এই টেস্ট জিতলে তবেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের টিকিট পাকা হবে টিম ইন্ডিয়ার।