ভারত: ২৫০ (পূজারা-১২৩, হ্যাজেলউড ৩/৫২)
অস্ট্রেলিয়া: ১৯১/৭ (হেড-৬১*, অশ্বিন ৩/৫০)
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম দিন ভারতীয় দলের স্কোরবোর্ড খানিকটা চিন্তাতেই রেখেছিল গোটা শিবিরকে। এক চেতেশ্বর পূজারা ছাড়া ক্রিজে টিকতে ব্যর্থ বাকি ক্রিকেটাররা। এমন অবস্থায় যে ভারতীয় বোলারদের জান-প্রাণ দিয়ে ঝাঁপাতে হবে, তা ভালই বোঝা গিয়েছিল। আর দ্বিতীয় দিন সেই লক্ষ্যে অনেকটাই সফল অশ্বিন, ইশান্ত, বুমরাহরা। অ্যাডিলেডে প্রথমদিনের নায়ক যদি হন পূজারা, তবে দ্বিতীয় দিনটা অবশ্যই রইল অশ্বিনের নামে।
[দ্রাবিড়ের সঙ্গে আশ্চর্য মিল পূজারার, জানলে অবাক হবেন আপনিও]
অজিদের স্কোরবোর্ড দেখে এদিন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতেই পারে সফরকারী শিবির। তবে অ্যাডিলেডের সবুজ পিচ যে বোলিং সহায়কই, সে কথা কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না। বল গড়ানোর আগেই কিউরেটর জানিয়ে দিয়েছিলেন, এ উইকেটে উপকৃত হবেন বোলাররাই। পূজারাকে ব্যতিক্রম ধরলে কিন্তু তেমনটাই মনে হল এদিনও। অজি ব্যাটিং অর্ডারে ভাঙন ধরানোর কাজটা বেশ অভিজ্ঞ হাতেই সারলেন অশ্বিন ও ইশান্ত শর্মা। অ্যারন ফিঞ্চ (০) থেকে শন মার্শ (২), কাউকেই উইকেটে টিকতে দেয়নি ভারতীয় পেস এবং স্পিন অ্যাটাক। যে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে বৃহস্পতিবার দিনভর আলোচনার শীর্ষে ছিলেন খোয়াজা, তিনি এদিন ব্যাট হাতে খানিকটা ঘুরে দাঁড়ানো চেষ্টা করেছিলেন ঠিকই। কিন্তু সফল হননি। ক্রিজে থেকে আপাতত দলকে খাদ থেকে টেনে বের করার চেষ্টা করে চলেছেন ট্রাভিস হেড। দ্বিতীয় দিনের শেষে মিচেল স্টার্কের (৮*) সঙ্গে জুটি বেঁধে অপরাজিত রয়েছেন তিনি।
তবে অজিবাহিনীর প্রথম ইনিংসের শুরুর দিন তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে অশ্বিন বুঝিয়ে দিয়েছেন, টেস্টে জেতাই টিম ইন্ডিয়ার একমাত্র লক্ষ্য। ইশান্ত ও বুমরাহর ঝুলিতেও দুটি করে উইকেট। তবে ১৬ ওভারে হাত ঘুরিয়েও উইকেট নিতে পারেননি মহম্মদ শামি। তৃতীয় দিন ভারতীয়দের টার্গেট যত দ্রুত সম্ভব অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস গুটিয়ে দেওয়া। ঠিক যেমনটা এদিন করেছেন স্টার্ক, হ্যাজেলউডরা। ভারতীয় টেল এন্ডার শামি ব্যাট করতে নামতেই তাঁর উইকেট তুলে নেন হ্যাজেলউড। ফলে ২৫০ রানেই শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। তবে দ্বিতীয় ইনিংসের গতিবিধি একইরকম থাকলে চার টেস্টের সিরিজ যে জয় দিয়েই শুরু করবেন বিরাট কোহলিরা, তা বলা যেতেই পারে।
The post অশ্বিন ম্যাজিকে কাত অস্ট্রেলিয়া, দ্বিতীয় দিনে চালকের আসনে ভারত appeared first on Sangbad Pratidin.