বাংলাদেশে: ২৩৩ (মমিনুল ১০৭, বুমরাহ ৩-৫০), ২৬-২ (জাকির ১০, অশ্বিন ২-১৪)
ভারত: ২৮৫-৯ ডিক্লেয়ার (জয়সওয়াল ৭২, রাহুল ৬৮)
ভারত ২৬ রানে এগিয়ে।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আড়াই দিনেও টেস্ট জেতা যায়। স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে ভারত। স্বপ্ন দেখানো শুরু করেছে অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং কোচ গৌতম গম্ভীরের ব্র্যান্ড অফ ক্রিকেট। কানপুরে বৃষ্টিবিঘ্নিত চতুর্থ দিনের শেষে ম্যাচের যা অবস্থা, তাতে শেষদিন কোনও জাদুমন্ত্রে ভারত টেস্ট জিতে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। আরেকটা ফলাফল হতে পারে, সেটা হল ড্র।
বৃষ্টির জেরে কানপুর টেস্টের আড়াইটে দিন পুরো জলে গিয়েছে। আড়াই দিনে টেস্ট জিততে হলে অতিমানবীয় ক্রিকেট খেলতেই হবে ভারতকে। যার শুরুটা এদিন সকালে করেন বোলাররা। মাত্র ২৩৩ রানে বাংলাদেশকে অলআউট করে দেন বুমরাহ-আকাশদীপ-অশ্বিনরা। বুমরাহ-সিরাজদের ঝড় সামলে বাংলাদেশের মোমিনুল হক অপরাজিত ১০৭ রানের ইনিংস না খেললে আরও কমে গুটিয়ে যেতে হত বাংলাদেশকে। যাই হোক ২৩৩ রানে অল আউট হওয়ার পরও হয়তো বাংলাদেশ দল ভাবেনি চতুর্থ দিনের শেষে হারার আশঙ্কা তাড়া করবে তাঁদের।
কিন্তু এর পর যেটা হল সেটা এককথায় অভাবনীয়। ২৩৩ রানের জবাব দিতে এসে রোহিত শর্মা যশস্বী জয়সওয়ালরা যে ভাবে বাংলাদেশ বোলারদের আড়ংধোলাই শুরু করলেন, সেটা টি-২০ ক্রিকেটেও সবসময় দেখা যায় না। টিম ইন্ডিয়া ৫০ রানে পৌঁছে যায় ৩ ওভার শেষ হওয়ার আগেই। আর ১০০ রানে পৌঁছে যায় ১০.১ ওভারে। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৩৪ ওভার ৪ বল খেলে ৯ উইকেটে ২৮৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে টিম ইন্ডিয়া। জয়সওয়াল করেন ৭১ বলে ৮২ রান। গিল করেন ৩৬ বলে ৩৯ রান। দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন বিরাট কোহলি এবং কে এল রাহুল। কোহলি ৩৫ বলে ৪৭ রান করেন। রাহুল করেন ৪৩ বলে ৪৮। অতএব কী দাঁড়াল, আড়াই দিনে টেস্ট জয়ের লক্ষ্যে ভারত মাত্র ৩৪.৪ ওভারে ২৮৫ রান তুলে দিল। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ পিছিয়ে গেল ৫২ রানে।
সেখানেও নাটকের শেষ নয়। ব্যাটাররা যে কাজটা শুরু করেছিলেন সেটা এগিয়ে নিয়ে গেলেন বোলাররাও। দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে ভারত তুলে নিল বাংলাদেশের দুই ব্যাটারকে। দিনের শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ২৬। আরেকজন অবশ্য নাইট ওয়াচম্যান হাসান মাহমুদ।