ভারত: ২২৪-২ (বিরাট ৮০, রোহিত ৬৪)
ইংল্যান্ড: ১৮৮-৮ (মালান ৬৮, বাটলার ৫২)
ভারত ৩৬ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থানাধিকারী দলের লড়াই। এর পরতে পরতে পালাবদল, স্নায়ুযুদ্ধের নিদর্শন থাকবে, সেটা প্রত্যাশিতই ছিল। ভারত-ইংল্যান্ড টি-২০ সিরিজ সেই প্রত্যাশা পূরণে ১০০ শতাংশ সফল। গোটা সিরিজ টানটান উত্তেজনায় শেষ হল। আর শেষ হাসি হাসলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর শেষ ম্যাচ জিতে নিয়ে সিরিজ পকেটে পুরল ভারত।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে এদিন ফের টসে হারেন বিরাট। প্রত্যাশিতভাবেই ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় ইংল্যান্ড। তবে চমক ছিল শুরুতেই। রোহিতের সঙ্গে এদিন ভারতের হয়ে ওপেন করতে আসেন খোদ ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি। আর সেটাই ছিল বিরাটের মাস্টারস্ট্রোক। বিগত কয়েকটি ম্যাচে শুরুতে উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে যাচ্ছিল ভারত। এদিন ঠিক তার উলটোটা হল। রোহিত-বিরাটের জুটিতেই ভারত তুলে ফেলল ৯৪ রান। তাও মাত্র ৯ ওভারে। রোহিত করলেন ৩৪ বলে ৬৪ রান। রোহিত আউট হলেও বিরাট ইনিংসের শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন। তাঁর সংগ্রহ ৮০ রান। ১৭ বলে ৩৯ রানের দুর্দান্ত ক্যামিও খেললেন হার্দিক। চমকপ্রদ ইনিংস খেললেন সূর্যকুমার যাদবও। ১৭ বলে তাঁর সংগ্রহ ৩২ রান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ভারতের ইনিংস শেষ হয় ২ উইকেটে ২২৪ রানে।
[আরও পড়ুন: মিসবা আসলে গরীবের এমএস ধোনি! নিজের দেশের কোচকেই বিঁধলেন রামিজ রাজা]
২২৫ রানের বিশাল টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমে শুরুটা জঘন্য হয় ইংল্যান্ডের। ওপেনার জ্যাসন রয় খাতা খোলার আগেই ফেরেন প্যাভিলিয়নে। কিন্তু এরপর পালটা আক্রমণ শানান বাটলার এবং মালান। ১৩০ রানের দুর্দান্ত পার্টনারশিপ করেন তাঁরা। একটা সময় মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ড অনায়াসে ম্যাচ জিতে নেবে। ঠিক তখনই বাটলারকে ৫২ রানে ফিরিয়ে খেলার মোড় ঘোরান ভুবি। এরপর অল্প সময়ের ব্যবধানে বেয়ারস্টো, মালান এবং মর্গানকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। শেষ চার ওভারে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৮১ রান। ইংরেজরা সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ভারত জেতে ৩৬ রানে। জয়ের ফলে ৫ ম্যাচের সিরিজ ৩-২ ম্যাচের ব্যাবধানে পকেটে পুরল টিম ইন্ডিয়া।