সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একমাত্র টেস্ট ম্যাচের পর রবিবার থেকে ইংল্যান্ডের (England) বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে খেলতে নেমেছে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল (Indian Woman’s Cricket Team)। আর সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ব্রিষ্টলে অনন্য রেকর্ডের মালিক হলেন ভারতীয় ক্রিকেটার শেফালি বর্মা (Shefali Verma)। বিরাট কোহলি (Virat Kohli) কিংবা মহেন্দ্র সিং ধোনি (Mahendra Singh Dhoni) তো দূর, এই রেকর্ড নেই সৌরভদের মতো তারকাদেরও। এমনকী ছাপিয়ে গেলেন ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন তেণ্ডুলকরকেও। যদিও দলকে জেতাতে পারেননি শেফালি। নিজেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন।
এদিনই ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের। আর এর ফলেই দেশের সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে ক্রিকেটের তিন ফর্ম্যাটেই খেলার নজির গড়লেন তিনি। ১৭ বছর ১৫০ দিন বয়সে এই নজির গড়লেন শেফালি। পুরুষ এবং মহিলাদের মিলিয়ে কনিষ্ঠতম ক্রিকেটারদের তালিকায় শেফালি পঞ্চম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন। আর মেয়েদের মধ্যে শেফালি রয়েছেন তিন নম্বরে। ওই তালিকায় আফগানিস্তানের মুজিব উর রহমান তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন। মুজিবের পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ইংল্যান্ডের মহিলা দলের ক্রিকেটার সারা টেলর। ১৭ বছর ৮৬ দিন বয়সে তাঁর তিন ফর্ম্যাটে অভিষেক হয়েছিল। এরপর রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এলিস পেরি। তিনি আবার ১৭ বছর ১০৪ দিন বয়সে তিন ফর্ম্যাটে খেলার নজির গড়েছিলেন। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন পাকিস্তানের মহম্মদ আমির (১৭ বছর ১০৮ দিন)। আর তারপরই শেফালির স্থান।
[আরও পড়ুন: বেলজিয়ামের কাছে হারের পরই অধিনায়কের আর্মব্যান্ড ছুঁড়ে লাথি রোনাল্ডোর, দেখুন ভিডিও]
এত কম বয়সে আর কোনও ভারতীয় ক্রিকেটারের সব ধরনের ক্রিকেটে অভিষেক হয়নি। টেস্ট অভিষেকের সময় শচীন তেণ্ডুলকরের বয়স ছিল ১৬ বছর ২০৫ দিন। একদিনের ক্রিকেটে সচিন যখন প্রথম ম্যাচ খেলতে নামেন তখন তাঁর বয়স ছিল ১৬ বছর ২৩৮ দিন। কিন্তু তখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট হত না। শচীন একটিই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন, তাও ২০০৬ সালে। তখন তাঁর বয়স ৩৩ বছর।
যদিও অনন্য রেকর্ড গড়লেও প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে গিয়েছে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল। প্রথমে ব্যাট করে মিতালিরা নির্ধারিত ৫০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ২০১ রান তোলেন। ১৫.১ ওভার বাকি থাকতেই সেই রান তুলে ফেলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। তাও মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে। অনন্য নজির গড়ার দিনে শেফালির সংগ্রহ ১৪ বলে ১৫ রান।