নিউজিল্যান্ড: ১৩২-৫ (গাপ্তিল ৩৩, সেইফের্ট ৩৩)
ভারত: ১৩৫-৩ (রাহুল ৫৭, শ্রেয়স ৪৪)
ভারত ৭ উইকেটে জয়ী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও বড় জয় ভারতের। এবারেও জয়ের নেপথ্যে সেই লোকেশ রাহুল (KL Rahul) এবং শ্রেয়স আইয়ারদের (Sreyash Iyer) মতো তরুণরা। দলের দুই স্তম্ভ বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা এদিন ব্যাট হাতে রান না পেলেও জিততে অসুবিধা হল না ভারতের। আবারও ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করলেন আগের ম্যাচের দুই নায়ক।
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ভারত এভাবে দাপট দেখাবে, তা হয়তো অতি বড় ভারতীয় সমর্থকও ভাবতে পারেননি। কারণ, এর আগে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ভারতের রেকর্ড মোটেই সন্তোষজনক ছিল না। এর আগে বার দুই নিউজিল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেও সাফল্য আসেনি। এবারে অন্তত প্রথম দুই ম্যাচ দেখে মনে হচ্ছে, সেই সিরিজ জয়ের অধরা স্বপ্ন এতদিনে পূরণ হতে চলেছে।
[আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে না এলে টি-২০ বিশ্বকাপ বয়কট, ভারতকে হুঁশিয়ারি পিসিবির]
প্রথম ম্যাচে অনবদ্য জয়ের পর অকল্যান্ডে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস নিয়েই নেমেছিলেন বিরাটরা। সেই আত্মবিশ্বাস টিম ইন্ডিয়ার খেলায় চোখেও পড়ল। এদিন, টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় কিউয়িরা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটাও ভালই করে নিউজিল্যান্ড। প্রথম উইকেটের জুটিতে মাত্র ৬ ওভারে তাঁরা পৌঁছে যায় ৪৮ রানে। কিন্তু, গাপ্তিল আউট হওয়ার পরই স্লথ হতে থাকে রানের গতি। একে একে পড়তে থাকে উইকেটও। শেষপর্যন্ত জাদেজা-শামি এবং বুমরাহর দাপুটে বোলিংয়ে ৫ উইকেটের বিনিময়ে মাত্র ১৩২ রানেই আটকে যায় কিউয়িরা।
[আরও পড়ুন: ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উপলক্ষে বর্ধমানে হাজির লারা, জনতার উচ্ছ্বাসে আপ্লুত কিংবদন্তি]
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি ভারতেরও। দলের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি ফিরে যান ৩৯ রানের মধ্যেই। বিরাট ১১ এবং রোহিত শর্মা ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এরপরই ইনিংসের হাল ধরেন আগের ম্যাচের দুই নায়ক শ্রেয়স আইয়ার এবং লোকেশ রাহুল। দুই তরুণ ক্রিকেটারের ব্যাটে ভর করে সহজেই জয় পেল টিম ইন্ডিয়া। শ্রেয়স করলেন ৪৪ রান। রাহুল ৫৭ রানে অপরাজিত থাকলেন। জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া।
The post অনবদ্য বোলাররা, বিরাট-রোহিতের ব্যর্থতার দিন ভারতকে জেতাল তরুণ-ব্রিগেড appeared first on Sangbad Pratidin.