সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৪.০-০-৩১-৩। তাঁর শিকারের তালিকায় ছিলেন রোহিত শর্মা, কেএল রাহুল ও বিরাট কোহলি। পরিসংখ্যানেই তো পরিষ্কার ঐতিহাসিক মহাযুদ্ধে বিধ্বংসী স্পেলই উপহার দিয়েছেন তিনি। ইয়র্কার হোক কী স্লোয়ার। প্রতিটা ডেলিভারিই সাবলীল ভাবে করলেন তিনি। প্রমাণ করলেন ঠিক কেন তাঁকে ভবিষ্যতের মহাতারকা বলা হচ্ছে।
তিনি–শাহিন আফ্রিদি (Shaheen Afridi)। পাকিস্তান ক্রিকেটের (Pakistan) নতুন বিস্ময় প্রতিভা। দুর্দান্ত বোলিংয়ের পিছনে কারণ কঠোর পরিশ্রম এমনটাই জানালেন শাহিন। যিনি বললেন, “নেটে অনেক পরিশ্রম করেছি। সব সময় চেষ্টা করেছি কী ভাবে আরও উন্নতি করা যায়। ভারতের প্রথম তিনজন ব্যাটারের উইকেট পেয়ে ভাল লাগছে। দলের যা স্ট্র্যাটেজি ছিল সেই অনুযায়ী বোলিং করেছি। ঠিক লেংথে বলটা রেখেছি।” সুইংকে অস্ত্র করেই ভারতের টপ অর্ডারকে সমস্যায় ফেলেন শাহিন (Shaheen Afridi)। বললেন, “প্রথম দিকে বলটা সুইং করায় আমার সুবিধা হয়েছে। জানতাম সুইং পেলে রোহিতরা সমস্যায় পড়বে। যাই হোক আমি শুধু এটাই বলতে চাই যে নিজের স্বাভাবিক বোলিং করেছি। আশা করছি এই ফর্ম ধরে রাখব।”
[আরও পড়ুন: T20 World Cup: ইতিহাসের চাকা ঘুরল মরুশহরে, পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার বিরাট-বাহিনীর]
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (ICC T20 World Cup) মতো এত বড় মঞ্চে খেলতে পেরে তিনি গর্বিত। শাহিন বললেন, “সব সময় স্বপ্ন দেখতাম পাকিস্তানের হয়ে বিশ্বকাপে খেলব। ওয়ান ডে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে আমি ছিলাম ২০১৯-এ। তবে এবার প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলছি। মুহূর্তটা দারুণ।”
তিনি বল হাতে ভারতীয় ব্যাটারদের নাস্তানাবুদ করলেন ঠিকই। তাতেও শাহিনের দাবি দুবাইয়ের পিচ ব্যাটিং সহায়ক। পাকিস্তানের পেসার যোগ করেন, “নতুন বলে একটু সমস্যা হতে পারে ব্যাটারদের। তবে পিচটা ব্যাটিংয়ের পক্ষে আদর্শ।”
[আরও পড়ুন: বিরাটের অধিনায়কত্ব, রোহিতদের ব্যর্থতা, কোন পাঁচ কারণে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হারল ভারত?]