ভারত: ২০৮-৮ (রাহুল ৭০, বিরাট কোহলি ৩৮, রাবাদা ৫-৪৪)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুইং, বাউন্স, তার সঙ্গে দোসর মেঘলা আকাশ। সেঞ্চুরিয়নে এই তিনের কম্বো ভারতের টপ অর্ডারকে তছনছ করে দিল। বলা ভালো, কাগিসো রাবাদা একাই কার্যত ধরাশায়ী করে দিলেন বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ারদের। ভালো বোলিং করলেন অন্য পেসাররাও। তবে দিনের শেষে একা কুম্ভ হয়ে টিম ইন্ডিয়াকে লড়াই করার মতো জায়গায় টেনে নিয়ে গেলেন কে এল রাহুল। প্রথম দিনের শেষে ভারতের স্কোর ৮ উইকেটে ২০৮ রান।
সেঞ্চুরিয়নে বৃষ্টি যে বাদ সাধতে পারে সে পূর্বাভাস আগেই ছিল। হলও তাই। বৃষ্টি এবং খারাপ আউটফিল্ডের জন্য খেলা শুরুই হলে আধঘণ্টা দেরিতে। টস জিতে প্রথমে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠালেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক বাভুমা (Temba Bavuma)। মেঘলা আকাশের নিচে প্রোটিয়াদের সুইং এবং পেস সামলানো যে সহজ হবে না, সেটা কমবেশি জানাই ছিল। কিন্তু রোহিতরা (Rohit Sharma) যে এভাবে ভেঙে পড়বেন, সেটা হয়তো প্রত্যাশা করা যায়নি। মাত্র ২৪ রানেই ভারতের তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে দেন প্রোটিয়া পেসাররা। বিশ্বকাপের ব্যর্থতার রেশ কাটিয়ে মাঠে ফিরে রোহিত করলেন মাত্র ৫, শুভমান গিলের সংগ্রহ ২। যশস্বী জয়সওয়াল করলেন ১৭ রান। তিন ব্যাটারই কার্যত উইকেট ছুড়ে দিয়ে এলেন।
[আরও পড়ুন: লোকালয়ে ঢুকে পাঁচিলে বসে রোদ পোহাচ্ছে বাঘ! আতঙ্কে কাঁটা স্থানীয়রা, ভিডিও ভাইরাল]
৩ উইকেটের পতনের পর বিরাট কোহলি (Virat Kohli) এবং শ্রেয়স আইয়ার ইনিংসের হাল ধরেন। শ্রেয়স করেন লড়াকু ৩১ আর বিরাট করেন ৩৮। দুজনকেই অনবদ্য ডেলিভারিতে প্যাভিলিয়নে ফেরান রাবাদা। বিরাট অবশ্য আগেও বার দুই ক্যাচ তুলেছিলেন। এবং সেটা ইনিংসের একেবারে গোড়াতেই। কিন্তু সেসব সুযোগ নষ্ট করে দক্ষিণ আফ্রিকা। একটা সময় মাত্র ১০৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। সেখান থেকে ১৫০ রানে পৌঁছানোটাই চ্যালেঞ্জ মনে হচ্ছিল। এর পর আবার একে একে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, শার্দূল ঠাকুরও রাবাদার বলি হন। অশ্বিন করেন ৮, শার্দূল ঠাকুর লড়াকু ২৪ রানের ইনিংস খেলেন।
[আরও পড়ুন: পাক নির্বাচনে মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী হাফিজ সইদ! মৌলবাদীদের দখলে যাবে ইসলামাবাদ?]
একদিকে যখন একের পর এক উইকেট পড়ছে ঠিক তখনই ভারতের ত্রাতা হিসাবে উঠে আসেন কে এল রাহুল (KL Rahul)। কখনও অশ্বিনকে নিয়ে, কখনও শার্দূলকে নিয়ে, কখনও বুমরাহকে নিয়ে ছোট ছোট জুটি বাঁধেন তিনি। কার্যত একার হাতেই শেষদিকে ভারতের স্কোর ২০০ পার করান তিনি। দিনের শেষেও এক কুম্ভ হয়ে লড়ে যাচ্ছেন এই উইকেট কিপার ব্যাটার। তাঁর সংগ্রহ অপরাজিত ৭০। সঙ্গে শূন্য রানে খেলছেন সিরাজ। এদিন শুরুটা যেমন বৃষ্টি দিয়ে হয়েছিল, শেষটাও তাই হল। ভারতের স্কোর যখন ৮ উইকেটে ২০৮, তখন বৃষ্টি নামল। এর পর আর খেলা হয়নি। শেষবার ভারত যখন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যায়, সেবারে টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন রাহুল। ভারতীয় সমর্থকদের আশা, এবারেও কে এলের ব্যাটেই ঘুরে দাঁড়াবে টিম ইন্ডিয়া।